বাকৃবির তৈরি ‘ফেস শিল্ড’ ময়মনসিংহ মেডিকেলে হস্তান্তর

করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় নিয়োজিতদের সুরক্ষায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) নিজস্ব ল্যাবে তৈরি ফেস শিল্ড (মুখের ঢাল) ময়মনসিংহ মেডিকেলে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ছবি: স্টার

করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় নিয়োজিতদের সুরক্ষায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) নিজস্ব ল্যাবে তৈরি ফেস শিল্ড (মুখের ঢাল) ময়মনসিংহ মেডিকেলে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ৫০ টি ফেস শিল্ড ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান ফ্যাব ল্যাবের (ফেব্রিকেশন ল্যাবরেটরি) ইনচার্জ প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেন।

বাকৃবি’র ফ্যাব ল্যাবে তৈরি করা হচ্ছে করোনা মোকাবিলায় এই সুরক্ষা সরঞ্জামটি। চিকিৎসক, নার্স, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অধিকতর সুরক্ষায় মুখমণ্ডল ঢাকার কাজে এই শিল্ড ব্যবহার করা যাবে ।

ফ্যাব ল্যাবের ইনচার্জ প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেন জানান, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পিপিই, মাস্ক এর সাথে ফেস শিল্ড ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে ফেস শিল্ড এর পরিবর্তে নামমাত্র চশমা ব্যবহার করতে দেখা যায়। ঢাকা থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করে ফেস শিল্ড তৈরির কাজ শুরু করা হয়। এগুলো করোনা মহামারি প্রতিরোধে কর্মরতদের বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।

ফ্যাব ল্যাবের টেকনিশিয়ান নাজমুল হুদা জানান, ফেস শিল্ড তৈরি করতে বাইরে থেকে আমদানি করা অ্যাক্রিলিক শিট ও ফ্লেক্সিশিড ব্যবহার করা হয়ে থাকে যা গুণগতমানসম্পন্ন। কম্পিউটারে ডিজাইন করে অ্যাক্রিলিক শিট লেজার কাটার দিয়ে নেয়ার পর ফ্লেক্সিশিট লাগিয়ে ফেস শিল্ড তৈরি করা হয়। ফ্যাব ল্যাবে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ টি ফেইস শিল্ড তৈরি করা সম্ভব।

বাকৃবির উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসানের নির্দেশনায় ফ্যাব ল্যাবে এই ফেস শিল্ড তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

উপাচার্য বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এগুলো বিনামূল্যে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ ও বাকৃবি’র হেলথ সেন্টারের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় প্রদান করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে আইনশৃঙ্খখলা বাহিনীর সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীদেরও সরবরাহ করা হবে।’

Comments