কৃষকের খেত থেকে সরাসরি সবজি কিনছে সেনাবাহিনী

সবজি চাষের জন্য খ্যাত যশোরে এবার অনুকূল আবহাওয়া থাকায় সবজির উৎপাদন ভালো হয়েছে। কিন্তু, করোনার কারণে দেশে সাধারণ ছুটি ও যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় এসব সবজি নিয়ে বিপাকে পড়েন কৃষকরা। ফলে, অবিক্রিত সবজি মাঠেই পড়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকদের পাশে দাাঁড়িয়েছে সেনাবাহিনী। কৃষকদের আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সরাসরি খেত থেকে সবজি কিনছে যশোর সেনানিবাস। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে এ সবজি ক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়।
ছবি: স্টার

সবজি চাষের জন্য খ্যাত যশোরে এবার অনুকূল আবহাওয়া থাকায় সবজির উৎপাদন ভালো হয়েছে। কিন্তু, করোনার কারণে দেশে সাধারণ ছুটি ও যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় এসব সবজি নিয়ে বিপাকে পড়েন কৃষকরা। ফলে, অবিক্রিত সবজি মাঠেই পড়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকদের পাশে দাাঁড়িয়েছে সেনাবাহিনী। কৃষকদের আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সরাসরি খেত থেকে সবজি কিনছে যশোর সেনানিবাস। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে এ সবজি ক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশ এক প্রকার অবরুদ্ধ হয়ে আছে। বন্ধ আছে সব ধরনের গণপরিবহনের চলাচল। ফলে, এক জেলার সঙ্গে অন্য জেলার যোগাযোগও বন্ধ আছে। এ অবস্থায় পণ্য পরিবহও কঠিন হয়ে গেছে। যে কারণে সবজির পাইকারি ব্যবসায়ীরাও তাদের ব্যবসা সীমাবদ্ধ করে করে রেখেছে। এছাড়া, হোটেল বন্ধ থাকায় নিজ জেলাতেও সবজির সরবরাহের সুযোগ নেই। এ পরিস্থিতিতে এবারের ভরা মৌসুমে উৎপাদিত সবজি খেতেই নষ্টের আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি সামলে নিতে ও কৃষকদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে ন্যায্যমূল্যে সরাসরি খেত থেকে সবজি কিনতে শুরু করেছে সেনাবাহিনীর যশোর ৫৫ পদাতিক ডিভিশন। সেনাপ্রধানের অনুপ্রেরণায় যশোর সেনানিবাসের ৪০টি ইউনিটের প্রতিদিনের খাবারের জন্য সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সবজি কিনবে। মূলত গ্রামের প্রান্তিক কৃষকের খেত ও ছোট বাজার থেকে এই সবজি কেনা হবে। কৃষক যাতে ফসলের ন্যায্যমূল্য পায় তা নিশ্চিত করতে আগামী এক মাস সবজি কেনার পরিকল্পনা আছে তাদের।

যশোর ক্যান্টনমেন্ট ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের ৮৮ ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল নেয়ামুল হালিম খান বলেন, ‘যশোরে সেনানিবাসের জন্য প্রচুর পরিমাণ সবজির প্রয়োজন হয়। ঠিকাদাররা এসব সবজির যোগান দিত। কিন্তু, দেশের এই সংকটময় সময়ে সেখান থেকে সরে আসা হয়েছে। এখন সরাসরি কৃষকদের

কাছ থেকে সবজি কিনে চাহিদা মেটানো হচ্ছে। এর ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা যে মুনাফা পেত সেটি বন্ধ হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘কৃষক যেন ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত না হন বা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ। করোনার প্রভাব থেকে কৃষকের কষ্ট ও দুর্দশা কমাতে সেনাপ্রধান এই উদ্যোগ নিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন।’

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago