রেলে স্বল্প খরচে শাকসবজিসহ নিত্যপণ্য বহন করা যাবে: রেলপথমন্ত্রী

ত্রাণ বিতরণ করছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম। ছবি: স্টার

ব্যবসায়ীরা এখন থেকে রেলপথে স্বল্প খরচে টমেটো, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ সব ধরনের শাকসবজি পরিবহন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে আজ শুক্রবার থেকে এই সেবা চালু করা হয়েছে, যাতে করে দেশের কোথাও নিত্যপণ্যের সংকট না হয়।

আজ দুপুরে মন্ত্রী পঞ্চগড়ের ময়দানদিঘী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিক ও অসহায় দুস্থদের মাঝে সরকারের ত্রাণ বিতরণকালে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের যাত্রীবাহী ট্রেনসেবা বন্ধ থাকলেও মালবাহী ট্রেন চালু করেছি। রেলপথে লাগেজ ভ্যানে ব্যবসায়ীরা শাক সবজি বহন করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অনেকটা ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, করোনার মধ্যে আমরা আবার মহাবিপদে পড়ে গেছি। এই বিপদের দিনে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চান একজন মানুষও যেন অভুক্ত না থাকে। এই করোনা পরিস্থিতির সময় তিনি সাধারণ মানুষদের নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। অসহায় নিম্নমধ্যবিত্তের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে একজনে দুই-তিন বার ত্রাণ পাবে আবার কেউ একবারও পাবে না না এমনটি যেন না হয়।’

‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন আমাদের কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। শাকসবজি লাগাতে হবে। একটুকরো জমিও ফেলে রাখা যাবে না। পঞ্চগড়ে উৎপাদিত টমেটো, তরমুজসহ বিভিন্ন শাক সবজি ট্রেনের লাগেজ ভ্যানে স্বল্প ভাড়ায় বেশি পরিমাণে পরিবহন করতে হবে,’ বলেন মন্ত্রী।

এ সময় তিনি ময়দানদিঘী ইউনিয়নের ৪২৬ জন কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিক, অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে চাল, ডাল, শাকসবজি ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন। সেই সঙ্গে বোদা উপজেলার ২৮ টি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করেন।

Comments

The Daily Star  | English
Banks deposit growth in 2024

Depositors leave troubled banks for stronger rivals

Depositors, in times of financial uncertainty, usually move their money away from troubled banks to institutions with stronger balance sheets. That is exactly what unfolded in 2024, when 11 banks collectively lost Tk 23,700 crore in deposits.

12h ago