সিলেটে সামাজিক দূরত্ব না মেনে বিয়ের অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা

করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার নির্দেশনা উপেক্ষা করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে বিয়ের আয়োজন করা হয়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেঞ্চুগঞ্জের মহিদপুর গ্রামের ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে শতাধিক মানুষের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, দুজন সদস্য ও উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান।
শুক্রবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিতে বরের সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা

করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার নির্দেশনা উপেক্ষা করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে বিয়ের আয়োজন করা হয়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেঞ্চুগঞ্জের মহিদপুর গ্রামের ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে শতাধিক মানুষের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, দুজন সদস্য ও উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান।

আজ শনিবার বিকেলে ওই গ্রামে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাখী আহমদ। পরে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাখী আহমদ বলেন, ‘জনসমাগম করে বিয়ে আয়োজন করার বিষয়টি জানার পর ওই গ্রামে গিয়ে সত্যতা নিশ্চিত করি। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।’

বিয়ের পর গতকাল রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বরের সঙ্গে তোলা ছবি আপলোড দেওয়ার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ছবিতে বরের সাথে উত্তর কুশিয়ারা ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ জিলু, ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন ও সোহেল আহমদ চৌধুরী হেলাল এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানকে দেখা যায়।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আহমদ জিলু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমার গ্রামের একজনের বিয়ে তাই যেতে হয়েছিল। তবে, এটি সম্পূর্ণ ঘরোয়াভাবে আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি দুই বাড়ির ছেলে-মেয়ের মধ্যেই বিয়ে। আর ছবিটি কেবলমাত্র স্মৃতি ধরে রাখতেই তোলা হয়েছিলো ঘরের ভিতরে। আয়োজনের সকল কিছুতেই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হলেও ছবি তোলার সময় দূরত্ব বজায় রাখা হয়নি।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago