হার্মিসনের অ্যাকশনে পেস বোলিং করতেন মুশফিক
৬ ফিট ৩ ইঞ্চি উচ্চতার ইংল্যান্ডের স্টিভ হার্মিসনের অনুকরণে একটা সময় পেস বোলিং করতেন মুশফিকুর রহিম। অদ্ভুত শোনালেও সত্য বিকেএসপি তিনি শুরুতে ভর্তি হতে চেয়েছিলেন ব্যাডমিন্টনে। তখন ব্যাডমিন্টন না থাকায় পরে ক্রিকেট, ফুটবল দুটোতেই সুযোগ পান, বেছে নেন ক্রিকেট।
শনিবার রাতে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে ইন্সটাগ্রাম লাইভে এসব গল্প শুনিয়েছেন মুশফিক।
করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির সময়ের একঘেয়েমি কাটাতে লাইভ মুশফিকের সঙ্গে লাইভ আড্ডার উদ্যোগ নেন তামিম। দুই ক্রিকেটারের ঘন্টাখানেকের আড্ডায় বেরিয়ে আসে অনেক বিষয়।
মুশফিকের পেসার থাকার প্রসঙ্গ প্রথমে তুলেন তামিমই, ‘অনেকেই জানে না তুই নাকি হার্মিসনের স্টাইলে পেস বোলিং করতি?’ মুশফিক হেসে জবাব দেন ‘হ্যাঁ পেস বোলিং করতাম।’
তারপর জানান তার পেস বোলার থেকে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানে রূপান্তর হওয়ার গল্প, ‘বোলিং করতাম কারণ তখন চেষ্টা করতাম যতদিক থেকে অবদান রাখা যায়। কিপিং সেভাবে করতাম না। একটা ম্যাচে মূল উইকেটকিপার চোটে ছিল। তখন উইকেটকিপিং করি। ওখান থেকে ভালোবাসাটা শুরু (উইকেটকিপিংয়ের)। তার আগে আমি বোলারই ছিলাম। যেটা বললি এই উচ্চতায় পেস বোলার এটা খুবই অপ্রচলিত। আমি যখন বিকেএসপিতে ভর্তি পরীক্ষা দেই। তখন স্যাররাও বলেছিলেন, “এই উচ্চতায় পেস বোলার, পাগল নাকি তুমি? তুমি যেটা করতেছ সেটা কর।” মানে ব্যাটিং।’
তবে পেস বোলিংয়ের আগেও মুশফিকের প্রথম প্রেম ব্যাডমিন্টন। মুশফিক যখন ভর্তি পরীক্ষা দেন তখন বিকেএসপি ব্যাডমিন্টন চালু ছিল না। ছিল না বলেই আজকের ক্রিকেটার মুশফিককে পেয়েছে বাংলাদেশ, ‘আমার আসলে ক্রিকেটের চেয়েও বেশি প্রিয় ছিল ব্যাডমিন্টন। অনেক ভালো লাগত। কিন্তু তখন বিকেএসপিতে ব্যাডমিন্টন ছিল না। আমি ক্রিকেট ও ফুটবল, দুটিতেই চান্স পেয়েছিলাম। পরে ক্রিকেটেই গেলাম। লারা আমার প্রিয় ছিল খুব, তার মতো ব্যাটিং করতে ইচ্ছে হতো। আমার ভাইরাও সব ক্রিকেট খেলত। সব মিলিয়ে ক্রিকেটেই গেলাম।’
Comments