প্রণোদনা প্যাকেজ চাইছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
করোনাভাইরাসের কারণে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতই একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর। বন্ধের কারণে হওয়া ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের কাছে প্রণোদনা প্যাকেজ চেয়েছে তারা।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি না নিয়ে যাতে কমপক্ষে ছয় মাস ২৫ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন পরিশোধ করা যায় সেজন্যই এই আবেদন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) একটি চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সংস্থা এপিইউবি।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে কিস্তিতে তিন বছরের মধ্যে এই অর্থ ফেরত দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।
এপিইউবির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পরে যাওয়ায় আমরা ইউজিসির কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাব বলে প্রত্যাশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখনও টাকার পরিমাণ উল্লেখ করিনি, কারণ আমরা এর আনুমানিক হিসাব করছি।’
গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে এবং কয়েক ধাপে তা ৫ মে পর্যন্ত বেড়েছে।
গত ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, তাদের প্রধান আয়ের উত্স শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত টিউশন ফি। করোনাভাইরাসের কারণে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সরকারি নির্দেশনা মেনে বন্ধ থাকায় কোনো টিউশন ফি আদায় করছে না।
চিঠিতে আরও উল্লেখ্য করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আয়ের আরেকটি বড় উৎস ভর্তি। ইউজিসির নির্দেশনার কারণে ভর্তিও বন্ধ রয়েছে এখন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাড়ছে তহবিল সংকট। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে নতুন প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহিদুল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা চিঠিটি পেয়েছি। শিগগির আমরা চিঠিটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।’
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ইউজিসির শীর্ষ কর্মকর্তা, কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও এপিইউবির নেতাদের এক সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রী বলেছেন, পরে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত সচিব ফেরদৌস জামান জানান, বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলমান সংকট চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের বা তাদের অভিভাবকদের টিউশন ফির জন্য চাপ দেবে না। এতে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন নিয়মিত পরিশোধ করবেন।
Comments