ফরিদপুরে আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২৮
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২৮ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা মাঝারদিয়া ইউনিয়নের নয়াপাড়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে সালথা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, এলাকায় অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিনের (৪৫) সঙ্গে মাঝারদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. কামালের (৩২) বিরোধ ছিল।
সেই বিরোধের জের ধরে শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে দুই পক্ষের কয়েক শ লোক ঢাল, সড়কি, বল্লব, ট্যাটাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ২৮ জন আহত হন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মাটি কাটা নিয়ে দুই নারীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ওই দুই নারীর একজন আমার সমর্থক, অন্যজন কামালের সমর্থক।’
‘দুই নারীকে শান্ত করে মসজিদে আসরের নামাজ পড়তে যাই’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘নামাজ শেষে বের হয়ে দেখি কামালের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার সমর্থকদের উপর হামলা করেছে।’
মাঝারদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. কামাল বলেন, ‘আমার দুই সমর্থক বিকালে গিয়াসের বাড়ির কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় গিয়াসের সমর্থকরা তাদের মারধর করে। এর জেরে পরবর্তীতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘দুই পক্ষের সংঘর্ষের সংবাদ শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
‘আহতদের বেশির ভাগই ইটের আঘাত পেয়েছেন। এ ব্যাপারে আজ রবিবার দুপুর পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে,’ যোগ করেন ওসি।
Comments