জুভেন্টাসে যাওয়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন মার্সেলো
গুঞ্জনটা শুরু সেই ২০১৮ সাল থেকে। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর থেকেই। এরপর বেশ কিছু গণমাধ্যমেও এসেছে, রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাসে যোগ দিতে যাচ্ছেন মার্সেলো। চলতি মৌসুমেও উঠেছে। আগামী মৌসুমে জুভেন্টাসের যোগ দেওয়ার গুঞ্জন চাউর ফুটবল পাড়ায়। তবে সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক ইতালিয়ান তারকা ফ্যাবিও ক্যানাভারোর সঙ্গে লাইভে, সে গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন ৩১ বছর বয়সী এ ব্রাজিলিয়ান লেফট ব্যাক।
সাম্প্রতিক সময়ে রিয়ালের প্রথম একাদশে আগের মতো নিয়মিত নন মার্সেলো। সেনেগাল বংশোদ্ভূত ফরাসী তারকা ফেরল্যান্ড মেন্ডিও খেলছেন সমান তালে। এমনকি কোচ জিনেদিন জিদানও লিঁও থেকে গত মৌসুমে আনা ২৪ বছর বয়সী এ তারকার প্রতি আস্থা রাখছেন। একাদশে থাকা নিয়ে তাই প্রতিযোগিতাটা বেড়েছে। আর এ কারণেই গুঞ্জনটা আরও চড়া হয়েছে। তার উপর সাবেক সতীর্থ বন্ধু রোনালদোর খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন মার্সেলো। নিয়মিতই যোগাযোগ হয় দুজনের মধ্যে।
তবে প্রতি মৌসুমেই তার রিয়াল ছাড়ার গুঞ্জন পছন্দ নয় মার্সেলোর। গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে বললেন, 'আমি দুই বছর আগেই শুনেছিলাম ক্রিস্তিয়ানোকে ফলো করে আমি জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার জন্য রাজি হয়েছি। লোকজন এ ধরনের গুঞ্জন শুনতে পছন্দ করে। তবে আমি কোথাও যাচ্ছি না। আমার মনে হয় না রিয়াল মাদ্রিদও এ মুহূর্তে আমার অন্য কোথাও যাওয়া মেনে নিবে। আমি মাদ্রিদে এখনও খুব ভালো আছি এবং (রিয়াল মাদ্রিদ) ছাড়ার কোন ইচ্ছা আমার নেই।'
অবশ্য ক্লাবের কোচ জিদানের প্রতি অন্যরকম আস্থা রয়েছে মার্সেলোর। জিদানকেই তার সব কিছু দিয়েছেন বলে এর আগে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন। আর রিয়ালে সের্জিও রামোসের পর সবচেয়ে পুরনো খেলোয়াড়ই মার্সেলো। সেই ২০০৭ সালে প্রায় ৬ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে ফ্লুমিনেন্স থেকে কিনে আনে রিয়াল। যোগ দেওয়ার পর টানা ১৩ বছর ধরে খেলছেন এ ক্লাবে।
Comments