নাইকোর বিরুদ্ধে ৮০০০ কোটি টাকার মামলায় জিতল বাংলাদেশ

নাইকোর অদক্ষতার কারণেই ছাতকের গ্যাসক্ষেত্রে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে রায় দিয়েছে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত সালিশি আদালত (ইকসিড)। গ্যাসক্ষেত্রে বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে নাইকোকে।
স্টার ফাইল ফটো

নাইকোর অদক্ষতার কারণেই ছাতকের গ্যাসক্ষেত্রে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে রায় দিয়েছে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত সালিশি আদালত (ইকসিড)। গ্যাসক্ষেত্রে বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে নাইকোকে।

আজ রোববার এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ১০ বছরের জটিল আইনি প্রক্রিয়া শেষে ইকসিড ট্রাইব্যুনাল ২০০৫ সালের বিস্ফোরণের জন্য, যৌথ উদ্যোগ চুক্তির শর্ত ভঙ্গে নাইকোকে দায়ী করে, তাদের অভিযুক্ত করে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এক যুগান্তকারী রায় দিয়েছে।

তিনি বলেন, ২০০৩ সালে নাইকো-বাপেক্স যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে ছাতক গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়নের দায়িত্ব পায় নাইকো। ২০০৫ সালে ছাতক গ্যাসক্ষেত্রে নাইকোর খনন কাজ পরিচালনার সময় বিস্ফোরণ ঘটে যাতে ওই গ্যাসক্ষেত্র ও তার আশপাশের এলাকার পরিবেশ ও জনজীবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

উল্লেখ্য প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে ২০০৫ সালের ৭ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে ওই বছরের ২৪ জুন।

তিনি বলেন, ২০১০ সালে ছাতক গ্যাসক্ষেত্রে বিস্ফোরণের জন্য নাইকো দায়ী নয় মর্মে ঘোষণা চেয়ে ইকসিডে একটি সালিসি মোকাদ্দমা করে নাইকো।

নসরুল হামিদ বলেন, সরকার বিশেষজ্ঞদের অভিমত নিয়ে ২০১৬ সালের ২৫ মার্চ বাপেক্সের জন্য ১১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও বাংলাদেশের জন্য ৮৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নাইকোর কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইকসিড-এ দাবি উত্থাপন করে।

নসরুল হামিদ অভিযোগ করেন, ‘অদক্ষ একটি কোম্পানিকে অসৎ উদ্দেশে বিএনপি-জামায়াত সরকার দেশের অতিমূল্যবান সম্পদ প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের দায়িত্ব দেয়ায় দেশের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত সরকার ছাতকের ওই নতুন গ্যাসক্ষেত্রকে প্রান্তিক গ্যাসক্ষেত্র প্রমাণের অপচেষ্টাও করেছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ইকসিডে প্রমাণ করা গেছে যে, ছাতক গ্যাসক্ষেত্র বিস্ফোরণের জন্য নাইকোই দায়ী।

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago