বিনামূল্যে টেলিমেডিসিন সেবা দিচ্ছে কুমুদিনী হাসপাতাল

করোনাভাইরাস সংক্রমণ আতঙ্কে সাধারণ রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন না বা পরিবহন সংকটের কারণে আসতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় রোগীদের চিকিৎসা দিতে বিনামূল্যে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার কুমুদিনী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কুমুদিনী হাসপাতালের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প। ছবি: স্টার

করোনাভাইরাস সংক্রমণ আতঙ্কে সাধারণ রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন না বা পরিবহন সংকটের কারণে আসতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় রোগীদের চিকিৎসা দিতে বিনামূল্যে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার কুমুদিনী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এই কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দেবেন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

আজ রবিবার বানাইল ইউনিয়নে মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করা হয় এবং সেখানে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থাপত্র নেন স্থানীয় রোগীরা।

এ প্রসঙ্গে দ্য ডেইলি স্টারকে কুমুদিনী হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার অনিমেষ ভৌমিক লিটন বলেন, ‘১ হাজার ৫০ শয্যার কুমুদিনী হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। ইনডোরে ভর্তি থাকে আরও ৭০০ থেকে ৮০০ রোগী। কিন্তু করোনা সংক্রমণের ভয়ে সাধারণ রোগীরা এখন চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসছেন না। এছাড়াও লকডাউনের কারণে পরিবহন সংকটে অনেকেই হাসপাতালে আসতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে কমিউনিটি পর্যায়ে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কর্মসূচী হাতে নিয়েছে কুমুদিনী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক নির্দেশিত সকল সতর্কতা যথাযথভাবে মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।’

এই কর্মসূচীর অংশ হিসাবে গতকালও লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করে হাসপাতালের তথ্য প্রযুক্তি শাখার কর্মীরা। সেখানে মোট ৪৩ জন স্থানীয় রোগী তাদের সমস্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেন এবং বিনামূল্যে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়।

ক্যাম্পে আসা গোরাকী গ্রামের হৃদরোগী আব্দুস সামাদ (৬০) শরীরে বিশেষ এক ধরণের চর্মরোগের কারণে কয়েকদিন যাবত রাতে ঘুমাতে পারছিলেন না। যোগীরকোফা গ্রামের কিশোরী সামিয়া আক্তার গত কয়েকদিন ধরে মৌসুমি জ্বর এবং ঠাণ্ডায় ভুগছিল। কিন্তু তারা কেও করোনা সংক্রমণ এবং পরিবহন সমস্যার কারণে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যেতে পারছিল না। ফলে, বাড়ির কাছে ইউনিয়ন ভবনে বিনামূল্যে ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে পেরে তারা আনন্দিত।  

উল্লেখ্য, উপমহাদেশের খ্যাতনামা দানবীর রায় বাহাদুর রনদা প্রসাদ সাহা দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে ১৯৩৮ সালে তার মায়ের নামে কুমুদিনী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।

Comments