করোনাভাইরাস

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে টেকনোলজিস্ট নেই, নমুনা সংগ্রহ করবে কে?

হবিগঞ্জে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সন্দেহজনক আক্রান্তরা নমুনা পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন। তবে হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট তিন জনের সবাই কোয়ারেন্টিনে চলে যাওয়ায়, এ কার্যক্রম বন্ধের উপক্রম হয়েছে।
Hobigonj Map.jpg
ছবি: স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

হবিগঞ্জে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সন্দেহজনক আক্রান্তরা নমুনা পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন। তবে হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট তিন জনের সবাই কোয়ারেন্টিনে চলে যাওয়ায়, এ কার্যক্রম বন্ধের উপক্রম হয়েছে।

এতদিন হাসপাতালের তিন জন টেকনোলজিস্ট নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করলেও, সপ্তাহখানেক আগে দুজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোয়ারেন্টিনে যান। এরপর থেকে একাই নমুনা সংগ্রহের কাজ করছিলেন টেকনোলজিস্ট ইমতিয়াজ তুহিন। গত শনিবার পর্যন্ত তিনি একাই ৪৪টি নমুনা সংগ্রহ করেন। তবে এর পরদিন তিনি নিজেও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কোয়ারেন্টিনে চলে যান। এতে বন্ধ হয়ে যায় নমুনা সংগ্রহের কাজ।

গতকাল বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেও নমুনা জমা দিতে পারেননি অনেকেই। নমুনা জমা না দিয়েই তাদেরকে ফিরে যেতে দেখা যায়। হাসপাতালে জনবল সংকটের কারণে চরম বিপাকে পড়েন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা করোনা সন্দেহে থাকা লোকজন।

আজ সোমবার থেকে হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ হবে কী না, এমন প্রশ্ন অনেকের মুখে। কোনো কারণে যদি হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ হয়ে যায়, জেলাবাসীর চরম বিপাকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করছেন অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি-ভিত্তিতে সদর হাসপাতালে জনবল বৃদ্ধির প্রয়োজন বলে দাবি জানিয়েছেন তারা।

ইমতিয়াজ তুহিন জানান, হাসপাতালে প্রতিদিন অনেক নমুনা সংগ্রহ করতে হয়। রোগীর নাম-ঠিকানা লিখে দেওয়া থেকে প্রাথমিক এসব কাজ করে দেওয়ার মতো কোনো লোক না থাকায়, তাকে একাই সব সামলাতে হয়। দীর্ঘদিন কাজ করার কারণে তিনি ক্লান্ত হয়েছেন পড়েছেন। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গতকাল থেকে কোয়ারেন্টিনে আছেন।

হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আশরাফ উদ্দিন জানান, বিষয়টি সিভিল সার্জনকে অবগত করা হয়েছে। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করবেন বলে তাকে জানিয়েছেন।

Comments