হামলা-ভাঙচুর: জুড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ২ মামলা
পোলট্রি খামারে হামলা ও ভাঙচুর এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান মিয়াকে লাঞ্ছনার অভিযোগে জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুকের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, গত শনিবার ইউপি চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুককে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নামে মামলা করেন খামার মালিক দীনবন্ধু সেন। আজ দুপুরে লাঞ্ছিত করা এবং কম্বাইন্ড হারভেস্টর ভাঙচুর ও লুটের অভিযোগে ফারুককে প্রধান আসামি করে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান মিয়া।
ওসি জানান, ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ১ মে রাতে জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামে একটি পোলট্রি খামারে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক আজ জুড়ীতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটি সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজারের জুড়ীতে পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামের দয়াময় সেনের ছেলে দীনবন্ধু সেন কৃষি ব্যাংক জুড়ী শাখা থেকে ২০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে এবং আরও ২০ লাখ টাকা দেনা করে একটি পোলট্রি খামার চালু করেন। তবে মুনাফা করতে পারেননি। এরই মধ্যে এলাকার একটি পক্ষ এই খামারটি সরিয়ে নেয়ার দাবি জানায়। এ নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলছে।
এ অবস্থায় গত শুক্রবার রাতে জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুকের নেতৃত্বে ওই পোলট্রি খামারটিতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। এ সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যানের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাজাহান মিয়াসহ বেশ কয়েকজন আহত হলে এলাকাবাসী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুককে আটকে রাখেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর জুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার ও ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পুলিশ উপজেলা চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে বাড়ী পৌঁছে দেন এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
পোলট্রি খামারের মালিক দীনবন্ধু সেন বলেন, ‘হঠাৎ খামারে ভাঙচুর করতে দেখে আমি দৌঁড়ে আসি। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান আমার বুকে পিস্তল ধরেন এবং আমাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেন। চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন মিলে আমার খামারে ভাঙচুর চালায়।’
Comments