লোহাগাড়ার বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর

ছবি: সঞ্জয় কুমার বড়ুয়া

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় একদল লোক বিবিবিলি এলাকার বিবিবিলি শান্তি বিহারে হামলা ও বুদ্ধ মূর্তি ভাঙচুর করেছে। গতকাল রবিবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, হামলার পর থেকে ওই এলাকার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা আতঙ্কের মধ্যে আছেন।

মন্দিরের অধ্যক্ষ ভদন্ত এস ধর্ম তিলক বলেন, ‘রোববার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে দিকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রায় ৪০ জনের মত লোক মন্দিরে আক্রমণ করে। তারা মন্দিরের জানালা, প্রাচীর এবং একটি বুদ্ধ মূর্তি ভাঙচুর করে।’

‘প্রাণে বাঁচার জন্য আমি মন্দিরের রুমের আলনার পেছনে লুকিয়ে ছিলাম। তিন রাউন্ড গুলি ছুড়ে তারা মন্দিরে আক্রমণ করেছিল,’ যোগ করেন এই বৌদ্ধ ভিক্ষু।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, ‘এই হামলার সঙ্গে চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর সংশ্লিষ্টতা আছে।’

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল ও তার অনুসারীরা হামলা করে, অভিযোগ গ্রামবাসীর।

অভিযুক্ত হেলাল নিজেকে চরম্বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমি মন্দিরে আক্রমণ করিনি। আমি এমপি নদভীর হয়ে কাজ করি এ কথা সত্য। তবে কোনো মন্দিরে হামলার নির্দেশ তিনি আমাদের দেননি।’

এমপি নদভী তার সংশ্লিষ্ঠতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি শুনেছি আমার দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে ওই এলাকার রকি বড়ুয়া নামের এক জনের ঝামেলা হয়েছিল। পুলিশ আমাকে বিষয়টি জানায়। এর বেশি কিছু আমি জানি না।’

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, ‘হামলার কথা জানার পরে আমি ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠিয়েছি। অপরাধীরা মন্দিরের দেওয়াল, জানালা এবং একটি বুদ্ধ মূর্তি ভাঙচুর করেছে।’

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

7h ago