লালমনিরহাটে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

লালমনিরহাট সদর উপজেলার উত্তর সাপ্টানা গ্রামে সবুজে সবুজে ভরে গেছে বোরো ধানের খেত। ছবি: এস দিলীপ রায়

আর দুই সপ্তাহ পরেই সোনা রঙে ভরে উঠবে বোরো ধানের খেত। শুরু হবে ধান কাটার উৎসব। গ্রামে গ্রামে ব্যস্ত হয়ে উঠবেন কৃষাণ-কৃষাণি আর কৃষি শ্রমিকরা। গেল কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষীরা। তারা বলছেন এ মৌসুমের বোরো ধান যেন তাদের কাছে প্রকৃতির আশীর্বাদ।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার উত্তর সাপ্টানা গ্রামের কৃষক শোভারাম চন্দ্র বর্মণ (৬৭) বলেন, এ বছর বোরো ধানের খেত ভালো ফলনের সংকেত দিচ্ছে। অথচ করোনার কারণে এবছরই সবচেয়ে অবহেলায় রয়েছে বোরো খেত। নেয়া হয়নি ঠিকমতো পরিচর্যা, দেয়া হয়নি পর্যাপ্ত সার কীটনাশক ও সেচের পানি।

তিনি জানান, তারা সাধারণত প্রতি বিঘা জমি থেকে ১৮-২০ মণ বোরো ধান পেয়ে থাকেন। এ বছর ২২-২৫ মণ এমনকি এরচেয়ে বেশি ফলনের ইঙ্গিত দিচ্ছে ফসলের মাঠ। অন্যন্য বছরের চেয়ে এ বছর বোরো ধানের খেতে কম খরচ হয়েছে। করোনার  কারণে এ বছর বোরো ধানের প্রত্যাশিত ফলনের আশা বাদ দিয়েছিলেন কিন্তু হয়েছে এর বিপরীত।

একই গ্রামের কৃষক শামসুল আলম (৬৫) বলেন, গেল বছরগুলোতে প্রতি বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করতে খরচ হয়েছিল ৭-৮ হাজার টাকা কিন্তু এ বছর খরচ হয়েছে ৫-৬ হাজার টাকা। কিন্তু ফলনের দিক থেকে গেল বছরগুলোর চেয়ে ভালো মনে হচ্ছে। আশা করছি এ বছর বোরো ধানের ভালো ফলন পাব।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলার ৫টি উপজেলায় এ মৌসুমে ৪৭,২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে আর উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ১১ হাজার মেট্রিক টন ধান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামিম আশরাফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর বোরো ধানের ফলন ভালো হবে আশা করা হচ্ছে। করোনার কারণে কৃষকরা ঠিকমতো ফসলের পরিচর্যা করতে না পারলেও অনুকূল আবহাওয়ার কারণে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Salehuddin urges all to work together to overcome challenges of economy

'We are in the midst of all sorts of challenges,' says the finance adviser

2h ago