লালমনিরহাটে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
আর দুই সপ্তাহ পরেই সোনা রঙে ভরে উঠবে বোরো ধানের খেত। শুরু হবে ধান কাটার উৎসব। গ্রামে গ্রামে ব্যস্ত হয়ে উঠবেন কৃষাণ-কৃষাণি আর কৃষি শ্রমিকরা। গেল কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষীরা। তারা বলছেন এ মৌসুমের বোরো ধান যেন তাদের কাছে প্রকৃতির আশীর্বাদ।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার উত্তর সাপ্টানা গ্রামের কৃষক শোভারাম চন্দ্র বর্মণ (৬৭) বলেন, এ বছর বোরো ধানের খেত ভালো ফলনের সংকেত দিচ্ছে। অথচ করোনার কারণে এবছরই সবচেয়ে অবহেলায় রয়েছে বোরো খেত। নেয়া হয়নি ঠিকমতো পরিচর্যা, দেয়া হয়নি পর্যাপ্ত সার কীটনাশক ও সেচের পানি।
তিনি জানান, তারা সাধারণত প্রতি বিঘা জমি থেকে ১৮-২০ মণ বোরো ধান পেয়ে থাকেন। এ বছর ২২-২৫ মণ এমনকি এরচেয়ে বেশি ফলনের ইঙ্গিত দিচ্ছে ফসলের মাঠ। অন্যন্য বছরের চেয়ে এ বছর বোরো ধানের খেতে কম খরচ হয়েছে। করোনার কারণে এ বছর বোরো ধানের প্রত্যাশিত ফলনের আশা বাদ দিয়েছিলেন কিন্তু হয়েছে এর বিপরীত।
একই গ্রামের কৃষক শামসুল আলম (৬৫) বলেন, গেল বছরগুলোতে প্রতি বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করতে খরচ হয়েছিল ৭-৮ হাজার টাকা কিন্তু এ বছর খরচ হয়েছে ৫-৬ হাজার টাকা। কিন্তু ফলনের দিক থেকে গেল বছরগুলোর চেয়ে ভালো মনে হচ্ছে। আশা করছি এ বছর বোরো ধানের ভালো ফলন পাব।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলার ৫টি উপজেলায় এ মৌসুমে ৪৭,২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে আর উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ১১ হাজার মেট্রিক টন ধান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামিম আশরাফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর বোরো ধানের ফলন ভালো হবে আশা করা হচ্ছে। করোনার কারণে কৃষকরা ঠিকমতো ফসলের পরিচর্যা করতে না পারলেও অনুকূল আবহাওয়ার কারণে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।
Comments