লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম থেকে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাকে ঢাকায় যাচ্ছে শ্রমজীবী মানুষ

ছবি: স্টার

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে চড়ে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম থেকে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে যাচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ।

তাদের অধিকাংশই গার্মেন্টসকর্মী বলে জানা গেছে।

লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার প্রবেশদ্বার তিস্তা সড়ক সেতুর টোল আদায়ে নিয়োজিত এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতিদিন শতাধিক ট্রাকে চড়ে মানুষজন কর্মস্থলে যাচ্ছেন।

‘বিশেষ করে রাতের বেলা যে সব ট্রাক যাচ্ছে সেগুলোতে বেশি মানুষ যাচ্ছেন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দিনের বেলাতেও অনেককে ট্রাকে চড়ে যাচ্ছেন। খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকগুলো লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম থেকে ফিরে যাওয়ার সময় শ্রমজীবী মানুষদের নিয়ে যাচ্ছে। প্রতি ট্রাকে ৩০ থেকে ৫০ জনকে যেতে দেখা যাচ্ছে।’

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ী গ্রামের কৃষক নফের আলী জানান, তার ছেলে ও ছেলের বউ গাজীপুরে একটি গার্মেন্টসে কাজ করে। করোনা পরিস্থিতিতে তারা বাড়িতে চলে আসে। কিন্তু গত ২ মে গার্মেন্টস থেকে ফোন আসায় তারা আবার চলে গেছে।

‘যেহেতু গণপরিবহন বন্ধ তাই লালমনিরহাট ট্রাক শাখার দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করে লালমনিরহাট থেকে ঢাকাগামী একটি ট্রাকে তাদের তুলে দেওয়া হয়েছে। ট্রাকে যাওয়ার জন্য দুই জনকে ১,৪০০ টাকা দেওয়া হয়েছে,’ বলেন তিনি।

কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জাবের আলী বলেন, ‘আমার ছেলে শরিফুল ইসলাম রাজধানী ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে। কারখানা থেকে ফোন আসায় সে গতকাল সোমবার ট্রাকে চড়ে ঢাকা গেছে।’

তিস্তা সড়ক সেতু টোল এলাকায় দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ট্রাকে মানুষ যাচ্ছে সত্যি। কিন্তু তারা কৃষি শ্রমিক। ট্রাকগুলো আটকাতে তারা নিজেদেরকে কৃষি শ্রমিক দাবি করেছে।’

তাছাড়াও ট্রাকে কৃষিশ্রমিক বহনের ব্যানার লাগানো থাকছে বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

No clear roadmap for investment

The budget for FY26 has drawn strong criticism from business leaders who say it lacks a clear roadmap for improving the investment climate, bolstering industrial competitiveness, and implementing overdue reforms in the banking sector.

14h ago