সুনামগঞ্জের করোনা আক্রান্ত গাজীপুরের পোশাক কারখানায়
ঢাকার গাজীপুর থেকে সুনামগঞ্জে আসা এক পোশাককর্মীর করোনার নমুনা সংগ্রহের ১৩ দিন পর আক্রান্ত নিশ্চিত হলে, জানা গেছে সেই ব্যক্তি ইতোমধ্যে ফিরে গেছেন তার কর্মক্ষেত্রে।
গত ২০ এপ্রিল গাজীপুর থেকে তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে এলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই তার নমুনা সংগ্রহ করে সিলেটে পাঠানো হয় ২২ এপ্রিল।
এদিকে, ২২ থেকে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে সিলেটের ল্যাবে পরীক্ষা না হওয়ায় জমে যাওয়া সিলেট বিভাগের ৬৬৭টি নমুনা পাঠানো হয় ঢাকায়, যার মধ্যে ৭৯টি নমুনায় করোনা পজিটিভ এসেছে বলে জানানো হয় গত ২ মে।
ল্যাব আইডি দিয়ে ঢাকায় পাঠানো এসব নমুনার তথ্য যাচাই শেষে আজ (৫ মে) সকালে নিশ্চিত হওয়া যায় কারা কারা আক্রান্ত হয়েছেন।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘উপজেলায় আক্রান্ত ছয় জনের রিপোর্ট আসার পর তাদের অবস্থানের তথ্য নিশ্চিত করতে গিয়ে জানা যায় যে আক্রান্ত এক ব্যক্তি ইতোমধ্যে গাজীপুরে তার কর্মস্থলে চলে গেছেন। আমাদের মেডিকেল অফিসারসহ একটি দল ওই ব্যক্তির গ্রামে গিয়েছে বিস্তারিত তথ্যের জন্য।’
তিনি জানান, আক্রান্ত ব্যক্তি গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত আছেন বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
গাজীপুরের স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
এদিকে ২ মে নিশ্চিত হওয়া ৭৯ করোনা আক্রান্তের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জনদের জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আনিসুর রহমান।
আক্রান্তদের মধ্যে সিলেট জেলার ৩৯ জন, সুনামগঞ্জের ২২ জন, হবিগঞ্জের ১২ জন এবং মৌলভীবাজারের ছয় জন।
সিলেট জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৬ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও তিন জন স্বাস্থ্যকর্মী।
হবিগঞ্জের আক্রান্তদের পাঁচ জন পুলিশ সদস্য ও দুই জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। মৌলভীবাজারের আক্রান্তদের মধ্যে এক চিকিৎসক এবং সুনামগঞ্জে এক চিকিৎসক ও দুই স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ নিয়ে সিলেট বিভাগে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪৬ জনে। তবে এ সব তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আগামীকালের তালিকায় যুক্ত হবে বলে জানান ডা. আনিসুর।
Comments