চাষ না করেই কাশফুলে লাভবান ব্রহ্মপুত্র চরের কৃষকরা

ব্রহ্মপুত্র নদের অষ্টমীর চর থেকে চিলমারীর জোড়গাছ হাটে শুকনো কাশফুলের গাছ বিক্রি করতে আসেন কৃষক নাফের উদ্দিন। বেশ খুশি মনে কাশ বিক্রি করছিলেন। এ বছর দুই বিঘা চরের জমি থেকে তিনি সাত হাজার আঁটি কাশ পেয়েছেন। প্রতি আঁটি পাঁচ টাকা দরে বিক্রি করে পেয়েছেন ৩৫ হাজার টাকা।
ছবি: স্টার

ব্রহ্মপুত্র নদের অষ্টমীর চর থেকে চিলমারীর জোড়গাছ হাটে শুকনো কাশফুলের গাছ বিক্রি করতে আসেন কৃষক নাফের উদ্দিন। বেশ খুশি মনে কাশ বিক্রি করছিলেন। এ বছর দুই বিঘা চরের জমি থেকে তিনি সাত হাজার আঁটি কাশ পেয়েছেন। প্রতি আঁটি পাঁচ টাকা দরে বিক্রি করে পেয়েছেন ৩৫ হাজার টাকা।

তিনি জানালেন, কাশফুল নদীর চরে এমনিতেই জন্মায়। এটি চাষ করতে হয় না। সার বা কীটনাশক কিছুই প্রয়োজন হয় না। শুধু লাগে চর থেকে কাশফুলের গাছ কেটে আনতে পরিবহন ও শ্রমিক খরচ। দুই বিঘা জমিতে এই বাবদ তার খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে প্রায় এক বিঘা চর ভেঙে নদীতে বিলীন হয়েছে।

এভাবে ব্রহ্মপুত্র চরের প্রায় সব কৃষকই বিনা চাষের কাশ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

কোদালকাটি চরের কৃষক দেলোয়ার হোসেন জানান, কাশফুল হলো চরের কৃষকরে ভাগ্যের ফসল। চর না ভাঙলে বিনা চাষে কাশ পাওয়া যায়।

কাশের চাহিদা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আগে খড়ের ঘর তৈরিতে কাশের ব্যবহার ছিল। এখন আর তেমন খড়ের ঘর নেই। তবু কাশের চাহিদা কমেনি। কারণ বিভিন্ন অঞ্চলে পানের বরজে এখানকার কাশ ব্যবহার হচ্ছে। খরচ বাদ দিয়ে চরের চার বিঘা জমি থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় হয়েছে আমার।’

জোড়গাছ হাটে কাশ ব্যবসায়ী জুলহাস মিয়া জানান, চরের কৃষকদের কাছে কাশ কিনে তিনি বরিশাল, বরগুনা, ঝালকাঠি, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলে পান চাষিদের কাছে বিক্রি করেন। পাঁচ টাকায় কেনা আঁটি বিক্রি হয় ১০-১২ টাকা পর্যন্ত দরে।

চিলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিসান দাস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, কাশফুল চাষের জন্য কোন বীজ কিংবা চারা নেই। এটি প্রাকৃতিকভাবে বর্ষাকালে নদীর বুকে চরে গজায়। প্রতি বছর বর্ষায় জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে কাশফুলের গাছ প্রাকৃতিকভাবে জন্মায়। কাশ কাটা হয় মধ্য জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago