বরিশালে দলীয় বিবেচনায় ওএমএসের তালিকায় নাম তোলার অভিযোগ
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/barishal_oms.jpg?itok=ur0GengO×tamp=1588688421)
বরিশালে দলীয় বিবেচনায় বিশেষ ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) কার্ডের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কাজে এর প্রতিকার ও তদন্ত দাবি করে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে ৩৫টি সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের জোট ‘করোনা প্রতিরোধে বরিশাল: সমন্বিত উদ্যোগ নামে একটি সংগঠন।
সংগঠনের সমন্বয়ক ডা. মণীষা চক্রবতী জানান, ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া একটি ভালো উদ্যোগ হলেও, ৩০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০টি ওয়ার্ডে আমরা দলীয়ভাবে নাম অন্তর্ভুক্তের অভিযোগ পেয়েছি। চাদমারি, রুপাতলি, ভাটিখানা, নাজির মহল্লা, পলাশপুরসহ দরিদ্রপ্রবণ এলাকা রয়েছে এর মধ্যে।
তিনি জানান অন্তত ১০ টি ওয়ার্ডে আমরা ২০০ অভিযোগ পেয়েছি, আরো অভিযোগ আসছে।আমরা কর্তৃপক্ষকে এসব অভিযোগ যাচাই বাছাই করতে বলেছি।
বরিশাল জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বলেন, ‘আমরা স্মারকলিপি পেয়েছি, অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে, তবে দলীয় বিবেচনায় এই তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তের সুযোগ নেই।’
বরিশাল খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক ও বিশেষ ওএমএস কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন জানান, এসব তালিকা যাচাই বাছাই করার জন্য ৫টি কমিটি রয়েছে। যদি আমরা কোনও অভিযোগ পাই, সে ক্ষেত্রে পুনরায় যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। আমরা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাইনি। ইতোমধ্যে ১৪টি ওয়ার্ডের তালিকা পেয়েছি, সেগুলোতে ১০ টাকা কেজি দরে ২০ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে। বাকি তালিকা আমাদের কাছে এখনও আসেনি।’
তিনি বলেন, ‘অনেক সময় আমরা স্পটে গিয়ে দেখি কার্ডধারী ব্যক্তি আসেননি, তখন তাৎক্ষণিকভাবে সেই কার্ড বাতিল করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১০/১২ টি কার্ড বাতিল হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে কার্ড বাতিল করা হবে।’
খাদ্য নিয়ন্ত্রকের আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১৮ হাজার কার্ড প্রদান করা হচ্ছে। যারা অন্যান্য সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল তাদেরকে এই সুবিধা দেয়া হচ্ছে। বিভাগে এই সংখ্যা ১ লাখ ৩ হাজার ৮০০ জন।
Comments