শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে কোরিয়ান লিগ

চীনের পরে শুরুর দিকে করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়। সে দেশটি করোনাভাইরাসকে অনেকটা জয় তো করেছেই, এবার দেশের শীর্ষ ফুটবল আসর কে-লিগ শুরু করতে যাচ্ছে। আগামী শুক্রবার (৮ মে) থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার এ শীর্ষ লিগ।

শুরুর দিকে চীনের পরে করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়। সে দেশটি এ ভাইরাসকে অনেকটা জয় তো করেছেই, এবার দেশের শীর্ষ ফুটবল আসর কে-লিগ শুরু করতে যাচ্ছে তারা। আগামী শুক্রবার (৮ মে) থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার এ শীর্ষ লিগ।

তবে কে-লিগ শুরু হওয়ার কথা ছিল গত ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে। ওইদিনই দক্ষিণ কোরিয়ায় রেকর্ড ৯০৯ জনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। যদিও এর কয়দিন আগেই লিগ স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিল লিগ কমিটি। নতুন করে কবে শুরু হবে এমন কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমে আসায় আবার লিগ শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকেই করোনাভাইরাসকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে সমর্থ হয়েছে দেশটি। গতকাল মঙ্গলবার (৪ মে) নতুন করে একজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীও পাওয়া যায়নি। তাই পরিস্থিতি নিরাপদ মনে করায় শুরু হচ্ছে এ লিগ। শুরুতে অবশ্য খেলা হবে বন্ধ দরজায়, দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। এরপর পরিস্থিতি সাপেক্ষে দর্শক উপস্থিতির ব্যাপার নিয়ে ভাববে তারা।

লিগ শুরু নিয়ে কে-লিগের সভাপতি কাওয়ান ওহ-গাপ বলেছেন, 'বর্তমান দিনগুলোতে লাইভ ফুটবল খুব বিরল। এশিয়ার শীর্ষ লিগটিকে সারাবিশ্বের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার একটি বড় সুযোগ এটি। আশা করছি কে-লিগ যখন শুরু হবে ফুটবল-ভক্তরা ভাইরাসের কথা ভুলে যাবে।'

স্বাভাবিকভাবেই কে-লিগ নিয়ে স্পন্সরদের আগ্রহও বেশ বেড়েছে। অথচ কদিন আগেও খুব বেশি প্রতিষ্ঠান এ লিগ নিয়ে তেমন আগ্রহী ছিল না। বুধবার (৫ মে) পর্যন্ত চীন-ক্রোয়েশিয়াসহ নানা দেশের সঙ্গে ১০টি চুক্তি করেছে তারা। এছাড়া অনেকের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম কোরিয়া হেরাল্ড।

তবে লিগ শুরু করতে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি দেশটির। লিগের খেলোয়াড় ও স্টাফ মিলিয়ে প্রায় ১১০০ জনের করোনা-পরীক্ষা হয়েছে গত সপ্তাহেই। সবার ফলাফল নেগেটিভ আসার পরই লিগ শুরুর ঝুঁকি নিচ্ছে তারা।

১২ দলের এ লিগে অবশ্য খেলার সংখ্যা ৩৮ থেকে ২৭টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। প্রতিটি দলের ২২টি করে ম্যাচ শেষ হতে পারলেই শেষ হবে লিগ। আর যদি মৌসুম চলার মাঝে দলের কারও মধ্যে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায় তাহলে তাদের ও তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলা শেষ দলের ম্যাচগুলো দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত থাকবে।

উল্লেখ্য, এশিয়ার মধ্যে তাইওয়ান ও তুর্কমেনিস্তানে এখনও ফুটবল চলছে। চলছে বুরুন্ডি, কোস্টারিকা ও নিকারুগুয়াতেও। ইউরোপের মধ্যে লিগ শুরু করেছে পোল্যান্ড। এছাড়া বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি ও জার্মানি লিগ শুরু করার সিধান্ত নিয়েছে। খুব শিগগিরই শুরু হতে পারে অস্ট্রেলিয়ান লিগও।

Comments

The Daily Star  | English
government changed office hours

Govt office hours 9am-3pm from Sunday to Tuesday

The government offices will be open from 9:00am to 3:00pm for the next three days -- from Sunday to Tuesday -- this week, Public Administration Minister Farhad Hossain said today

26m ago