চাঁদপুরে জামাইয়ের পর শ্বশুরও মারা গেলেন
চাঁদপুর সদরের রামপুরের কামরাঙ্গা গ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মেয়ের জামাই মারা যাওয়ার প্রায় একমাসের মাথায় ৬৫ বছর বয়সী শ্বশুরের মৃত্যু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ বাড়িতে বুকে ব্যথা অনুভব হওয়ার পর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। দ্য ডেইলি স্টারকে ঘটনাটি নিশ্চিত করেন রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন।
তিনি জানান, এর আগে তার মেয়ের জামাই করোনা উপসর্গ নিয়ে কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জ থেকে ১ এপ্রিল সপরিবারে চাঁদপুর সদরের রামপুর ইউনিয়নের কামরাঙ্গা গ্রামে চলে আসেন। তখন তার জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ থাকলেও তথ্য গোপন রেখে শ্বশুর বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। গত ১১ এপ্রিল বিকেলে তিনি মারা যান। তখনো পরিবারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বিভাগকে কিছুই জানানো হয়নি।
তিনি আরও জানান, এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সন্দেহভাজন মৃত হিসেবে তার করোনা নমুনা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন তিনি করোনাতে মারা গেছেন। তার কারণেই তার শ্বশুর ও তার এক শ্যালিকা (২২) করোনায় আক্রান্ত হন। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের দুজনের করোনা পরীক্ষা করে পজিটিভ পাওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন পুরো বাড়ি লকডাউন করে সবাইকে কোয়ারেন্টিনে রাখেন।
তবে ৬৫ বছর বয়সী করোনা রোগীর অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি রাখেন। সেখানে তার আরও দুবার করোনা পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ আসায় বাড়ি যাওয়ার অনুমতি পান। বাড়ি যাওয়ার নয় দিনের মাথায় তিনি আজ মারা যান বলে যোগ করেন আল মামুন।
চাঁদপুর সদর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ও করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল বলেন, ‘আমরা প্রথম গত ১৬ এপ্রিল তার নমুনা পরীক্ষা করে পজিটিভ পাই। দ্বিতীয়বার গত ২৫ এপ্রিল ও তৃতীয়বার ২৯ এপ্রিল তার নমুনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ আসে। তখন আমরা তাকে করোনা মুক্ত ঘোষণা করি। আমরা মনে করছি তিনি এবার করোনায় নয়, বয়সের কারণে স্বাভাবিক মৃত্যু বরণ করেছেন।’
Comments