উদযাপন আর সৌহার্দ্য বিনিময়ে যে বদলের সম্ভাবনা দেখছেন রাহানে

করোনাভাইরাসের প্রকোপ থামার পর খেলা শুরু হলে উদযাপন আর খেলোয়াড়দের সৌহার্দ্য বিনিময়ের প্রথায় বদল আসবে বলে মনে করেন আজিঙ্কা রাহানে। ভারতীয় এই ব্যাটসম্যানের ধারনা শারীরিক দূরত্ব বজায় নিয়ে উদ্বেগ বাড়ার পর বদলে যাবে যাপিত জীবনের অনেক অভ্যাস।

সংবাদ সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ৩১ বছর বয়েসি এই ব্যাটসম্যান মনে করেন, উইকেট পড়লে হয়ত ফিল্ডাররা আর বোলারের দিকে ছুটে আসবেন না, ‘আমার মনে হয় আমাদের পুরনো দিনে ফিরতে হবে। উইকেট পড়লে ফিল্ডাররা যার যার জায়গায় দাঁড়িয়ে তালি দিবে।’

খেলা শেষ হলে দুদলের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরা একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সৌহার্দ্য বিনিময় করেন। রাহানের মতে করোনা পরবর্তী সময়ে নাকি সেখানেও আসতে পারে বদল, করমর্দনের জায়গা নিতে পারে ‘নমস্তে’ ভঙ্গি, ‘হয়ত হাত মেলানোর জায়গা নিতে পারে নমস্তে।’

‘কিন্তু যখন খেলা ফিরবে আপনি কোন কিছুই নিশ্চয়তা ধরতে পারবেন না। দর্শকদের নিরাপত্তার ব্যাপারটাও গুরুত্ব পাবে। ভ্রমণের সময়ও জীবনধারা বদলে যাবে।’

করোনার মহামারিতে বিশ্বব্যাপীই খেলাধুলার জগত হয়ে যায় স্থবির। কোথায় কোথায় ফুটবল লিগ চালুর প্রস্তুতি চললেও ক্রিকেট নিয়ে মিলছে না আশার কোন খবর। ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোতে এখনো করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় অনিশ্চয়তা বাড়ছে। রাহানের মতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও হুট করে মাঠে নামা যাবে না। আর ভ্যাকসিন আবিষ্কারের আগে তো ক্রিকেট শুরু হওয়াই উচিত বলে মনে করেন না তিনি,  ‘‘প্রতিযোগিতামূলক খেলার আগে তিন-চার সপ্তাহ দরকার প্রস্তুতির জন্য। আমি আমার ব্যাটিং মিস করছি। তবে অবশ্যই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পরেই ক্রিকেট শুরু হওয়া উচিত।’