ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের নিন্দা ও বাতিলের দাবি সম্পাদক পরিষদের

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে যে ভয় ছিল সেটি এখন তার বাস্তব রূপ নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে এসেছে জানিয়ে এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে যে ভয় ছিল সেটি এখন তার বাস্তব রূপ নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে এসেছে জানিয়ে এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ।  

গণমাধ্যম ও নাগরিকদের বিরুদ্ধে অহরহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের নিন্দা এবং এই আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে আজ এক বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটি।  

সম্পাদক পরিষদের পক্ষে দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম ও পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজামের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি যেসব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা-গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে পরিষ্কারভাবে তা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাক স্বাধীনতার জন্য হুমকি।

এ ধরনের সব মামলা প্রত্যাহার ও সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।

এতে বলা হয়, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ভিত্তিহীন অভিযোগে সম্প্রতি সাংবাদিক, কার্টুনিস্ট ও একজন লেখককে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যাসত্য যাচাইয়ের আগেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

‘ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন, ‘গুজব রটনা’, ‘সরকারের সমালোচনা’ এ ধরনের অভিযোগ আমলে নিয়ে সাংবাদিকদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো অভিযোগ হওয়া মাত্র প্রায় সব ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারে গিয়ে ঠেকছে। সম্প্রতি ফটো জার্নালিস্ট কাজলকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে হাতকড়া পরিয়ে।

‘মুক্ত গণমাধ্যম, চিন্তার স্বাধীনতার পক্ষে সংসদ সদস্যরা দাঁড়াবেন—এটিই ছিল ঐতিহ্য। পরিতাপের ব্যাপার হলো, এখন গণমাধ্যম যখন আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে তখন তাদের মধ্য থেকেই কয়েকজন এতে যুক্ত হয়েছেন। মানহানি সংক্রান্ত প্রচলিত আইনের চেয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় বেশি আগ্রহ থেকে পরিষ্কারভাব এটিই প্রতীয়মান হয় যে বিচার চাওয়া নয় বরং সাংবাদিকদের ভয় দেখানোই এই মামলাগুলোর উদ্দেশ্য।’

প্রশাসনের ব্যর্থতা, অনিয়ম, দুর্নীতির কথা প্রকাশ করা গণমাধ্যমের অন্তর্নীহিত দায়িত্ব উল্লেখ করে সম্পাদক পরিষদ জানায়, সরকার যখন মহামারি মোকাবিলায় হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে তখন গণমাধ্যমের দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়।

মহামারি ও এর থেকে সৃষ্ট অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যখন পুরো জাতির ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার তখন গণমাধ্যমবিরোধী এ ধরনের কর্মকাণ্ড সেই ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago