২০০৭ বিশ্বকাপে হাবিবুল ছিলেন ‘চিতা’
অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনের নেতৃত্বে ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাফল্য ছিল অভাবনীয়। এক ঝাঁক তরুণদের নিয়ে সেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রতাপশালী ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে হারিয়ে দেয়। তারুণ্যে ভরা সেই দলের ফিল্ডাররাও ছিলেন ক্ষিপ্র। বয়সের কারণে তরুণদের সঙ্গে ফিল্ডিংয়ে তাল মেলাতে বেগ পাওয়া হাবিবুল তাই নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে নেন ভিন্ন তরিকা।
রোববার বাংলাদেশ দলের সাবেক তিন অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়, হাবিবুল বাশার সুমন ও খালেদ মাহমুদ সুজনকে সরাসরি অনলাইন আড্ডায় নিয়ে এসেছিলেন তামিম ইকবাল। চারজনের আড্ডায় উঠে আসে তাদের খেলোয়াড়ি জীবনের নানান গল্প।
হাবিবুলের নেতৃত্বেই তখনকার ১৭ বছরের তরুণ তামিমের প্রথম বিশ্বকাপ খেলা। সেই বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ টেনেই তামিম শুরু করেন স্মৃতিচারণ, ‘সুমন ভাইয়ের অন্য আরেকটা ডাক নাম আছে সবাই জানেন? ২০০৭ বিশ্বকাপে উনি বলতেন, উনি চিতার মতো ফিল্ডিং করনে। মানে অনেক দ্রুতগতি।’
তামিম হাবিবুলকে জিজ্ঞেস করেন আপনি নিজেকে চিতা বলতেন কেন, একটু যদি বলেন।
তখনকার সময়ে ৩৪ পেরুনো হাবিবুল নাকি ছিলেন দলের সবচেয়ে ধীরগতির ফিল্ডার। নিজেকে গতিশীল করতেই তাই নেন বিশেষ তরিকা, ‘আমি নিজে নিজেকে অনুপ্রানীত করার চেষ্টা করতাম। কারণ তখন আমাদের দলে অনেক তরুণ। তামিম, সাকিব। এমনকি অভিজ্ঞ রফিকও তখন ভাল ফিল্ডিং করে। মাশরাফি ছিল, রাসেল ছিল। আমি সবচেয়ে ধীরগতির ফিল্ডার ছিলাম। বল ধরলেই তাই নিজেকে বুক চাপড়ে “চিতা চিতা” বলে অনুপ্রাণীত করতাম।’
সেই বিশ্বকাপে পয়েন্টে আফতাব আহমেদকে দেখা যেত নজরকাড়া ফিল্ডিং করতে। দারুণ উদ্দীপ্ত ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল, মাশরাফি বিন মর্তুজারা।
তারুণ্যের শক্তিতে তারকায় ভরা হট ফেভারিট ভারতকে বিদায় করে সুপার এইটে উঠেছিল বাংলাদেশ। সেখানে গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে হারিয়েও পেয়েছিল আরেক জয়।
Comments