মানিকগঞ্জে ক্রেতারা মানছেন না নির্দেশনা, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল রোববার থেকে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বেচাকেনা চলবে দোকানগুলোতে। গতকাল ও আজ দোকানগুলোতে বিপুল সংখ্যক ক্রেতার উপস্থিতি দেখা গেছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাকের দোকানগুলোতেই ভিড় বেশি।
তবে, সামাজিক ও শারীরিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা থাকলেও তা যথাযথভাবে মানছেন না ক্রেতারা। যদিও, দোকান মালিকদের পক্ষ থেকে হাত ধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, ক্রেতারা মুখে মাস্কও পরছেন, তবে, শারীরিক দূরত্ব রক্ষা না হওয়ায় করোনার সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, তারা শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু, ভিড়ের কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।
মানিকগঞ্জ শহরের তৈরি পোশাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম আব্বাস আকন মিল্টন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শহরে প্রায় দেড় শ ছোট-বড় দোকান রয়েছে। সব দোকানেই হাত ধোয়ার ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সামাজিক ও শারীরিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা পালনের চেষ্টাও করা হচ্ছে। তবে, বড় দোকানগুলোতে সব নির্দেশনা মানা হলেও ছোট দোকানগুলোতে সম্ভব সেটি হচ্ছে না।’
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবিএম শামসুন্নবী তুলিপ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘দোকানপাট খোলায় মানুষ যেভাবে আসছে, এতে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়ে যাচ্ছে। ক্রেতারা দূরত্ব রক্ষা করাসহ বিধিগুলো মানছেন না। আমরা আশা করবো, প্রশাসন এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) রিফাত রহমান শামীম বলেন, ‘সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব রক্ষার ব্যাপারে সচেতনতা ও নির্দেশনা রক্ষায় পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। তবে, সমাজের সবাই যদি আন্তরিকভাবে চেষ্টা না করে, তাহলে এটা রক্ষা করা সম্ভব হবে না।’
জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস বলেন, ‘সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে হবে। অন্যথায় আইন অমান্যকারীকে আইনের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে জনসাধারণকেও সচেতন হতে হবে।’
Comments