সরকারের কাছে কিটের সাময়িক সনদপত্র চাইলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

Zafrullah Chowdhury-1.jpg
সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস নির্ণায়ক ‘জি র‌্যাপিড ডট ব্লট’ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা আজ সোমবার থেকে শুরু করার কথা ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ)। সে অনুযায়ী কিট সরবরাহের প্রস্তুতি নিয়েছিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। কিন্তু আজ দুপুর পর্যন্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে কোনো চিঠি দেয়নি বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ এবং কিট নেওয়ার জন্য কোনো লোকও পাঠায়নি।

কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরুর বিষয়টি বিএসএমএমইউ গঠিত কমিটি গতকাল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিনিধিদলকে নিশ্চিত করেছিল। এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, ‘বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ ফোনে আমাদের কাছে ২০০ কিট চেয়েছে এবং আমরা তা দিতে প্রস্তুত আছি। চিঠি পেলেই আমরা কিট সরবরাহ করব।’

এমতাবস্থায় আজ বিকালে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সেখানে বিএসএমএমইউ থেকে অনুমোদনের আগে সরকারের কাছে কিটের সাময়িক সনদপত্র চেয়েছেন তিনি।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সরকারের কাছে একটা আবেদন করতে চাচ্ছি আমি- অন্তত যতদিন না পর্যন্ত এই তুলনামূলক এফেক্টিভনেস পরীক্ষার রিপোর্ট আসে, ততদিন আমাদের একটা সাময়িক সদনপত্র দেন। যাতে লোকের করোনা হয়েছে কি হয়নি, তা র‌্যাপিড ডট ব্লটের মাধ্যমে প্রতিদিন পরীক্ষা করে বলে দিতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘এখন আমরা যদি শুরু করি, তাহলে বলবে যে উনারা নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না, নিয়মনীতি মানেন না, প্যারালাল করছি। যেহেতু কমিটির কাজ পেন্ডিং আছে, সেহেতু এটা করা যায় কী না সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা সরকারের কাছে এই আবেদন করছি।’

বিএসএমএমইউ গঠিত কমিটির কাজে ধীর গতির প্রসঙ্গ টেনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘এই কমিটি আমাদের জানাবেন, আমরা তাদেরকে কিট দেব। এই একই কাহিনী কতদিন আমরা করব। আমাদের অপারগতা এই যে, আমরা বুঝাতে সক্ষম হইনি এটা জাতীয় গুরুত্ব, দ্রুত এটা করা দরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কিছুটা হলেও সাহায্য করতে পারতাম। সবকিছুর আমরা পরিবর্তন করতে পারতাম না। কিন্তু লোকজনকে একটু মানসিক স্বস্তি দিতে পারতাম। কিন্তু পারিনি।’

Comments

The Daily Star  | English
National election

Political parties must support the election drive

The election in February 2026 is among the most important challenges that we are going to face.

4h ago