মোবাইল কিনতে ২০ হাজার টাকার জন্য অপহরণ, পরে হত্যা
বিশ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য পাঁচ বছর বয়সী শিশু মোবাশ্বের হোসেনকে অপহরণ করে হত্যা করে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের প্রতিবেশী নবম শ্রেণির এক কিশোর।
আজ সোমাবার বিকেলে পঞ্চগড়ের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দীতে ১৬ বছরের ওই কিশোর মুক্তিপণের টাকা দিয়ে মোবাইল কেনার পরিকল্পনা করেছিল বলে স্বীকার করে।
গ্রেপ্তারকৃত কিশোর অপহরণ থেকে শুরু করে শুক্রবারের পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে জবানবন্দীতে। সে জানায়, পছন্দের মোবাইল কেনার জন্য তার ২০ হাজার টাকা প্রয়োজন ছিল। প্রতিবেশী শিশুটিকে সকালে বাইসাইকেলে করে বাড়ি থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দুরে একটি বেতবাগানে নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণ দাবি করতে চেয়েছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী সকালে সে শিশুটিকে নিয়েও যায়। কিন্তু বাড়ি ফিরবার জন্য কান্নাকাটি শুরু করলে শিশুটি গলা টিপে ধরে সে। এতে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে শিশু মোবাশ্বের।
এ সময় পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওই কিশোর। কিন্তু শিশুটি বেঁচে থাকলে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে কয়েক শ গজ দূরের এক বাড়ি থেকে দা এনে গলা কেটে হত্যা করে বিকেলে বাড়িতে ফিরে আসে সে।
জবানবন্দী শেষে সন্ধ্যায় আদালতের বিচারক ওই কিশোরকে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে দেবীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহা আলম দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, শিশুটির পরিবার খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে শনিবার রাতে থানায় অপহরণ মামলা করে। এর মধ্যেই কয়েকজন জানায় যে তারা সাইকেলে করে মোবাশ্বেরকে অন্যত্র নিয়ে যেতে দেখেছেন। এই সূত্র ধরেই পুলিশ ছেলেটিকে রোববার ভোরে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সকালে ডোমার থানা পুলিশের সহযোগিতায় দেবীগঞ্জ পুলিশ ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের সব্দিগঞ্জ এলাকার বেত বাগান থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত মোবাশ্বের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের নায়েকপাড়া এলাকার মো. আলম হোসেনের ছেলে।
Comments