চীনা-বংশোদ্ভূত সাংবাদিকের সঙ্গে ট্রাম্পের উত্তপ্ত তর্ক

হোয়াইট হাউজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাংবাদিকদের উত্তপ্ত তর্ক হয়। সিএনএনের হোয়াইট হাউজ সংবাদদাতা ক্যাটলান কলিন্স ট্রাম্পকে প্রশ্ন করছেন। (বামে) পাশে বসে আছেন সিবিএস নিউজের হোয়াইট হাউজ সংবাদদাতা ভেইজিয়া জিয়াং। ১১ মে ২০২০। ছবি: রয়টার্স

সিবিএস নিউজের হোয়াইট হাউজ সংবাদদাতা ভেইজিয়া জিয়াংয়ের জন্ম চীনে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আসেন তার দুই বছর বয়সে।

এই এশীয়-আমেরিকান সাংবাদিক আজ (যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার) হোয়াইট হাউজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, 'আপনি অনেকবার বলেছেন, বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা হচ্ছে। প্রতিদিন হাজারো মানুষ মারা যাওয়ার পরেও সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা হওয়ার ব্যাপারটা কেন জরুরি? এটা কেন আপনার কাছে একটা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা, যেখানে প্রতিদিনই যুক্তরাষ্ট্রে এতো মানুষ মারা যাচ্ছে?'

উত্তরে ট্রাম্প জিয়াংকে কটাক্ষ করে বলেন, 'পৃথিবীর সবখানেই মানুষ মারা যাচ্ছে। এ ধরনের প্রশ্ন আমাকে না করে চীনকে করা উচিত।'

এরপর ট্রাম্প সাড়া দেন সিএনএনের হোয়াইট হাউজ সংবাদদাতা ক্যাটলান কলিন্সের প্রশ্নে। কিন্তু, জিয়াং ফের প্রশ্ন করেন, ‘এটি আমাকে কেন বিশেষভাবে বলা হচ্ছে?’

এসময় জিয়াংকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আপনাকে বলছি। তবে আমি কাউকে বিশেষভাবে বলছি না। যারা এ ধরনের নোংরা প্রশ্ন করে আমি তাদের সবাইকে বলছি।’

জিয়াং বলেন, ‘কোনোভাবেই এটা নোংরা প্রশ্ন না।’

ট্রাম্প এর কোনো উত্তর না দিয়ে অন্য সাংবাদিকদের প্রশ্ন করতে বলেন। কলিন্স তখন প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘আমার দুটি প্রশ্ন আছে।’

উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘না, এই পর্যন্তই।’

কলিন্স তখন বলেন, ‘কিন্তু, আপনিই তো আমাকে প্রশ্ন করতে বললেন। আমার দুটি প্রশ্ন আছে আপনার কাছে।’

উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি সুযোগ দিয়েছিলাম, আপনি সেই সুযোগ নেননি।’

কলিন্স বললেন, ‘আমি তো আমার সহকর্মীকে (জিয়াং) তার কথা শেষ করার সুযোগ দিয়েছিলাম। এখন কি আমি প্রশ্ন করতে পারি?’

ট্রাম্প তখন সংবাদ সম্মেলন শেষ করে দেন। বলেন, ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান, সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।’

সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন আচরণের তীব্র সমালোচনা চলছে। এই আচরণকে ‘কুৎসিত’ আখ্যা দিয়েছেন সাংবাদিক-লেখক ওলফ ব্লিৎজার। দেশটির বিরোধী ডেমোক্রেট বলেছে এটি ‘দুঃখজনক ঘটনা’।

সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স টুইটে বলেন, ‘নিজেকে শক্তিশালী প্রমাণ করতে অন্যের ওপর এমন কাপুরুষোচিত আক্রমণ।’

জিয়াংয়ের প্রতি ট্রাম্পের আচরণ ‘বর্ণবাদী’ বলেও মনে করা হচ্ছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Salehuddin hopes to get better results in meeting with US on tariff

'The final tariff will be fixed in the one-to-one negotiation with the USTR... The rate is not final yet...,' says finance adviser

48m ago