সারওয়ানকে কটূক্তি: শাস্তি পেতে পারেন গেইল

সাবেক সতীর্থ রামনারেশ সারওয়ান ‘সাপ ও করোনাভাইরাসের চেয়ে খারাপ’ বলে মন্তব্য করেছিলেন ক্রিস গেইল। কড়া সমালোচনা করেছিলেন সিপিএলে তার আগের ফ্র্যাঞ্চাইজি জ্যামাইকা তালাওয়াসকে। অতি আক্রমণাত্মক ভাষায় করা তার এসব মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড।
Chris Gayle
ছবি: এএফপি

সাবেক সতীর্থ রামনারেশ সারওয়ান ‘সাপ ও করোনাভাইরাসের চেয়ে খারাপ’ বলে মন্তব্য করেছিলেন ক্রিস গেইল। কড়া সমালোচনা করেছিলেন সিপিএলে তার আগের ফ্র্যাঞ্চাইজি জ্যামাইকা তালাওয়াসকে।  অতি আক্রমণাত্মক ভাষায় করা তার এসব মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড।

ক্রিকেট উইন্ডিজের সভাপতি রিকি স্টিট জানিয়েছেন, মন্তব্য আদান প্রদানেই ব্যাপারটা শেষ হচ্ছে না। একটা ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তিভুক্ত থাকায় গেইলের আচরণ নিয়ে হবে আলোচনা।

গত মাসে একটি ইউটিভিউব চ্যানেলে জ্যামাইকা দল ও সারওয়ানকে কঠোর সমালোচনা করেন গেইল। মূল সমস্যার সূত্রপাত গেইলের চুক্তি শেষ হওয়া নিয়ে। জ্যামাইকার সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি থাকলেও তাকে এক বছর পর ছেড়ে দেয় দলটি। এতে সাবেক সতীর্থ ও জ্যামাইকার বর্তমান সহকারি কোচ সারওয়ানের হাত দেখেছিলেন গেইল।

জ্যামাইকা ছাড়ে সেন্ট লুসিয়া জুকসে যাওয়া গেইল এরপরই তীব্র ভাষায় সারওয়ানকে আক্রমণ করে বসেন। সারওয়ান অবশ্য নমনীয় ভাষাতেই গেইলের অভিযোগ উড়িয়ে দেন।

একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তিতে থাকা অবস্থায় এমন আচরণের জন্য শাস্তির এখতিয়ার আছে বোর্ডের। সে কথারই ইঙ্গিত দিয়েছেন স্কিট,  ‘গেইল যেসব বলেছে তা পড়তে আমার ভাল লাগার কথা নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের জন্য তা ভাল কিছু না।’

‘আমি মনে করিয়ে দিতে চাই কোন ক্রিকেটারের যদি ক্লাব, ফ্র্যাঞ্চাইজি বা বোর্ডের চুক্তি থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই কিছু নিয়ম মানতে হবে। ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার মতো আচরণ করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। সিপিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গেইলের আলোচনা চলছে। কারণ সে একটা ফ্র্যাঞ্চাইজিতে চুক্তিবদ্ধ।’

৪০ পেরুনো গেইল নিজ দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি জ্যামাইকার হয়ে এতদিন খেলছিলেন। ক্যারিয়ারের বাকিটা সময়ও সেখানেই খেলার ইচ্ছে ছিল তার। কিন্তু মাঝপথে চুক্তি শেষ করে দেওয়ায় আফসোস থেকে যাচ্ছে এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানের।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago