মহামারির মধ্যেই চীনা নৌবাহিনীতে নতুন দুই মিসাইল-সাবমেরিন

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও সামরিক শক্তি বাড়িয়েই চলেছে চীনা প্রশাসন।
China missile
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও সামরিক শক্তি বাড়িয়েই চলেছে চীনা প্রশাসন।

সম্প্রতি চীনের নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের দুই মিসাইল-সাবমেরিন। গবেষকরা বলছেন, জেএল-৩ সাবমেরিন দুটি চীনের শীর্ষ আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষতার নির্দশন। এই দুই সাবমেরিন টাইপ-০৯৪ শ্রেণির।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, চীন আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো জেএল-৩ বা বিগ ওয়েভ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কথা সংবাদমাধ্যমে নিশ্চিত না করলেও চীনা নৌবাহিনী ইতোমধ্যেই এটির পরীক্ষা শুরু করেছে।

ওই দুই সাবমেরিন পরিচালিত বালিস্টিক মিসাইল (এসএলবিএম) তৈরিতে অবদান রাখা দলটি ইতোমধ্যে চীনের ‘এক্সসিলেন্স ইন ইনোভেশন’ জাতীয় পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে।

দেশটির পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) রকেট ফোর্স তৃতীয় প্রজন্মের এসএলবিএমকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে চলছে। নতুন মিসাইল দুইটি ১২ হাজার কিলোমিটার (সাত হাজার ৪৫০ মাইল) পরিসীমা পর্যন্ত আঘাত করতে সক্ষম। অর্থাৎ চীনা উপকূল থেকে ছোঁড়া হলে এটি যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে পারবে।

এর আগে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে চীন একই ধরনের মিসাইল পরীক্ষামূলকভাবে ছুঁড়েছিল। চীনা সামরিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সেসময় পরীক্ষামূলক মিসাইল ছুঁড়ে চীন মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি এক ধরনের সর্তকবার্তা পাঠিয়েছিল।

২০১৫ সালের জেএল-২ মিসাইলের চেয়েও নতুন মিসাইল দুটি শক্তিশালী। এই জেএল-৩ সাবমেরিন সফল হলে এটা থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে টাইপ ০৯৬ সাবমেরিন নির্মাণের লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Comments