জুটির রান আরও ৪০০০ বাড়ত, শচীনকে বললেন সৌরভ

sachin tendulkar and sourav ganguly
ছবি: এএফপি (ফাইল)

ভারতের তো বটেই, শচীন টেন্ডুলকার ও সৌরভ গাঙ্গুলির জুটি ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা বলে স্বীকৃত। ওয়ানডেতে তাদের কীর্তি চোখ ছানাবড়া করে দেওয়ার মতো। তারপরও এই দুই কিংবদন্তি সাবেক ব্যাটসম্যান মনে করেন, বর্তমান নিয়মে খেললে তাদের যুগলবন্দিতে আরও অনেক বেশি রান উঠত।

নব্বই দশকে গোটা বিশ্বের বোলারদের রীতিমতো শাসন করেছে শচীন-সৌরভের ওপেনিং জুটি। নতুন শতকের শুরুর কয়েকটি বছরেও তাদের ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন করেছে রাজত্ব। পরিসংখ্যান বলছে, এই দুই ভারতীয় ওয়ানডেতে মোট ১৭৬ বার জুটি বেঁধেছেন। ৪৭.৫৫ গড়ে আট হাজার ২২৭ রান তুলেছেন তারা। 

মঙ্গলবার সাবেক দুই তারকার একসঙ্গে খেলার একটি ছবি আর এসব তথ্য মিলিয়ে টুইট করেছে আইসিসি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা লিখেছে, ‍’ওয়ানডেতে আর কোনো জুটি ছয় হাজার রানও অতিক্রম করতে পারেনি।’

এই টুইটের প্রতিক্রিয়ায় সৌরভকে ট্যাগ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একশ সেঞ্চুরি হাঁকানো শচীন লিখেছেন, ‘এটা দারুণ সব স্মৃতি ফিরিয়ে আনল দাদি (সৌরভকে এই নামে ডাকেন শচীন)। বৃত্তের বাইরে চার জন ফিল্ডার ও দুটি নতুন বল দিয়ে খেললে আমাদের জুটি আরও কত রান করতে পারত বলে তোমার মনে হয়?’

জবাবে ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বর্তমান সভাপতি সৌরভ লিখেছেন, ‘আরও চার হাজার রান বা তারও বেশি। দুটি নতুন বল… ওয়াও… মনে হচ্ছে খেলার প্রথম ওভার থেকেই কভার ড্রাইভ সীমানার দিকে উড়ে যাচ্ছে… পরবর্তী ৫০ ওভারেও এমনটাই চলত।’

বর্তমান নিয়ম অনুসারে, ওয়ানডেতে প্রতি ইনিংসে দুপাশ থেকে দুটি নতুন বল ব্যবহার করা হয়। ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রেও রয়েছে বাধ্যবাধকতা। ইনিংসপ্রতি তিনটি পাওয়ার প্লে রয়েছে। প্রথম দশ ওভারে (১-১০) দুই জন ফিল্ডার ৩০ গজের বৃত্তের বাইরে থাকতে পারেন। পরের ত্রিশ ওভারে (১১-৪০) চার জন ও শেষ দশ ওভারে (৪১-৫০) পাঁচ জন ফিল্ডার বৃত্তের বাইরে থাকার অনুমতি পান।

জুটির রান নিয়ে মজার ছলে টুইট করলেও দুটি নতুন বল ব্যবহারের বিরোধিতা অনেক আগে থেকেই করে আসছেন শচীন। ২০১৮ সালে তিনি বলেছিলেন, ‘ওয়ানডেতে দুটি নতুন বল ব্যবহার করার অর্থ ধ্বংস ডেকে আনা। কারণ, রিভার্স হওয়ার মতো যথেষ্ট পুরনো হতে পারে না বল। ডেথ ওভারের অবিচ্ছেদ্য অংশ রিভার্স সুইং কতদিন ধরে দেখি না আমরা।’

Comments