করোনা ঝুঁকিতে চাঁদপুর, প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

করোনার সংক্রমণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে চাঁদপুর। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়মিত নমুনা পরীক্ষায় প্রতিদিনই নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এ জেলায় ৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার চাঁদপুর শহরে নতুন করে ১১ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

করোনার সংক্রমণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে চাঁদপুর। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়মিত নমুনা পরীক্ষায় প্রতিদিনই নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এ জেলায় ৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার চাঁদপুর শহরে নতুন করে ১১ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়।

জেলা প্রশাসকের এক তথ্যে জানা যায়, চাঁদপুর শহরসহ সদরে করোনায় আক্রান্ত ৩৭ জন। এছাড়া মতলব উত্তরে ছয় জন,ফরিদগঞ্জে সাত জন, হাইমচরে দুই জন, হাজীগঞ্জে চার জন, কচুয়ায় তিন জন,শাহরাস্তিতে দুই জন ও মতলব দক্ষিণে তিন জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩৯ জনকে আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, করোনা উপসর্গ নিয়ে চাঁদপুরে ইতোমধ্যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে চাঁদপুর সদরে এক জন, ফরিদগঞ্জে দুই জন ও হাজীগঞ্জের এক জন।

চাঁদপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর সদরে আক্রান্ত ৩৭ জনের মধ্যে শহরেই বেশি রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে চাঁদপুর মডেল থানার পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাসহ আট পুলিশ সদস্য, চাঁদপুর সদর হাসপাতালের দুই জনসহ সিভিল সার্জন অফিসের পাঁচ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হন। সর্বশেষ তালিকায় শহরসহ সদরের ১১ জন আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী আছে।

চাঁদপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, ‘এ পর্যন্ত চাঁদপুরে করোনা উপসর্গ আছে এবং করোনা রোগীর কন্ট্রাকট্রেসিং এ আসা ৯৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে রিপোর্ট এসেছে ৮৫১ জনের।’

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, ‘করোনার জন্য চাঁদপুর দিনদিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় আমরা লকডাউন কার্যক্রম আরও জোরালো করেছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে আছে। এছাড়া করোনা ঝুঁকি থেকে মানুষকে নিরাপদ রাখতে সব ধরনের বিপণিবিতান, গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। এ সময় লোকজন যেন ঘর থেকে বের না হয় সেজন্য সরকারি ও বেসরকারি ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত আছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago