নারায়ণগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত গার্মেন্টসকর্মী লালমনিরহাটে আটক

নারায়ণগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত গার্মেন্টসকর্মী পালিয়ে নিজ বাড়ি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় এসেছিলেন। পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তাকে বাড়ি থেকে আটক করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখেছেন।
Lalmonirhat_DS_Map.jpg
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নারায়ণগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত গার্মেন্টসকর্মী পালিয়ে নিজ বাড়ি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় এসেছিলেন। পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তাকে বাড়ি থেকে আটক করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখেছেন।

এ ঘটনায় এলাকায় করোনা আতংক সৃষ্টি হয়েছে।

চিকিৎসক ও পুলিশের ধারণা, আক্রান্ত গার্মেন্টসকর্মীর মাধ্যমে অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তির মধ্যে করোনা সংক্রামিত হয়ে থাকতে পারে। তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের সন্ধান চলছে।

পুলিশ জানায়, নারায়ণগঞ্জে এক গার্মেন্টসকর্মী জ্বর, সর্দি ও গলাব্যথা অনুভব করলে করোনা পরীক্ষা করান। গত বুধবার তার করোনা পজিটিভ রির্পোট আসে। রির্পোট হাতে পেয়ে তিনি পালিয়ে গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটে চলে আসেন।

পালিয়ে আসা সেই গার্মেন্টসকর্মী রোগ গোপন করে নারায়ণগঞ্জ থেকে আরও ১৪ জন মিলে একটি ভাড়া মাইক্রোবাসে রংপুর আসেন। সবাই রংপুরে নেমে যায়। তিনি রংপুর হতে ভেঙে ভেঙে অটোরিকশায় লালমনিরহাটের পাটগ্রামে আসেন।

ঢাকায় করোনা পজিটিভ রির্পোটের পর স্বাস্থ্যকর্মীরা তাকে আইসোলেশনে নিতে গিয়ে দেখেন তিনি পালিয়েছেন। পরে নারায়ণগঞ্জ থেকে পাটগ্রাম পুলিশ ও লালমনিরহাটের সিভিল সার্জনকে বিষয়টি জানানো হয়।

এদিকে, তার দেওয়া তথ্য মতে রংপুরে নেমে যাওয়া মাইক্রোবাসের চালক, সহযাত্রী ও অটোরিকশার চালক ও যাত্রীদের সন্ধান করা হচ্ছে। সংক্রমণরোধে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দ্র রায়।

করোনায় আক্রান্ত গার্মেন্টসকর্মীর আচরণকে অপরাধ ও কাণ্ডজ্ঞানহীন বলেও অবহিত করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

Now