‘সেঞ্চুরির পর আপনাকে ভূত-প্রেতে পায় নাকি’, রোহিতকে জিজ্ঞাসা তামিমের
শুরুতে একটু সময় নেন, তারপর ধীরে ধীরে পাখা মেলতে থাকে রোহিত শর্মার ইনিংস। থিতু হয়ে সেঞ্চুরিতে পৌঁছেও যেন কাজ শেষ করার কোন আভাসই মেলেনা, বরং আরও দুর্বার গতিতে ছুটতে থাকেন। একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি করা এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানের কাছে এই সাফল্যের রহস্য জানতে চেয়েছিলেন তামিম।
শুক্রবার বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে সরাসরি অনলাইন আড্ডায় যোগ গিয়েছিলেন রোহিত। দুই দেশের দুই ওপেনার পৌনে এক ঘণ্টার আলাপচারিতায় তুলেছেন অনেক বিষয়।
উইকেটে থিতু হলেই বড় ইনিংস খেলার রোহিতের সহজাত মুন্সিয়ানা নিয়ে কৌতূহল ছিল অনেকের। তা মেটাতেই এক পর্যায়ে তামিমে প্রশ্ন, ‘রোহিত ভাই আমার বরাবরের একটা কৌতূহল, সেঞ্চুরির পর আপনার কী হয়ে যায় ভাই? কোন ভূত-প্রেত কি ভর করে আপনার উপর? রহস্যটা কি?’ (হাসি)
তামিমের এই মজার প্রশ্নে সিরিয়াস হয়েই রোহিতের জবাব, ‘ইনিংসের শুরুতে আমিও স্নায়ুচাপে ভুগি। কিন্তু একবার সেঞ্চুরি হয়ে গেলে আর চাপ থাকে না, সব চলে যায়। তখন তো উপভোগ করার সময়। সেঞ্চুরি হয়ে গেলে পরে সময়টা আমার, খেলাটা একদম নিজের। আমি তখন ভাবি ভুল না করলে আমাকে আউট করার উপায় নাই।’
সেঞ্চুরির পর খারাপ সময়ের কথাও মনে করে সব পুষিয়ে দিতে একটা প্রেরণা নেন রোহিত, ‘দেখ অনেক সময় খারাপ সময় যায় আমাদের। তখন ভাল-খারাপ সব বলেই আউট হতে হয়, এমনকি নিজের বিরুদ্ধে বাজে সিদ্ধান্তও যায়। সেঞ্চুরি করার পর আমি এসব কিছু মনে রাখি, ভাবি সুযোগটা পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে, নিজেকে এই বার্তা দিয়ে এগিয়ে নেই।’
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে মিডল অর্ডারে খেলতেন রোহিতের। ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়েই তার ওপেন করতে নামা শুরু। এরপর চলছেন দুরন্ত গতিতে। ২২৪ ওয়ানডেতে ৪৯.২৭ গড়ে ৯ হাজার ১১৫ রান করেছেন। ৪৩টি ফিফটির সঙ্গে আছে ২৯টি সেঞ্চুরি। যার মধ্যে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি। তার খেলা ২৬৪ রানের ইনিংস ওয়ানডেতে কোন ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড।
Comments