চীনের ওপর সামরিক চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র

করোনাভাইরাস নিয়ে পরস্পরকে দোষারোপের মধ্যেই দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা বেড়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের। চীনের ওপর সামরিক চাপ বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
US-vs-China.jpg
ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস নিয়ে পরস্পরকে দোষারোপের মধ্যেই দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা বেড়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের। চীনের ওপর সামরিক চাপ বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সিএনএন জানায়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ও বিমান বাহিনীর বোমারু বিমানগুলো নতুন মিশন হাতে নিয়েছে। তারা ওই অঞ্চলের মিত্র দেশগুলোর পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে সংকেত পাঠিয়েছে।

সম্প্রতি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্টের কমান্ডারকে করোনাভাইরাস নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনার কারণে অপসারণ হয় হয়েছিল। পেন্টাগন জানায়, এই মাসের মধ্যেই তাকে ফিরিয়ে আনা এখন তাদের প্রথম অগ্রাধিকার।

করোনাভাইরাস নিয়ে শুরু থেকেই পরস্পরকে দোষারোপ করে আসছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকলে মহামারি পরিস্থিতির জন্য চীনকেই দায়ী করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

পেন্টাগনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, বেইজিংয়ের প্রভাব আছে এমন অঞ্চলগুলোতে সামরিক ও অর্থনৈতিক সুবিধার বাড়ানোর জন্য চীন মহামারি ছড়িয়ে থাকতে পারে।

গত বুধবার মার্কিন সামরিক বাহিনীর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের মুখপাত্র মাইকেল কাফকা বলেন, ‘এ অঞ্চলের মনোযোগ এখন কোভিড-১৯ এর দিকে থাকায় সেটার সুযোগ নিতে চেষ্টা করছে চীন। মহামারির সুযোগ নিয়ে চীন নিজের স্বার্থকে এগিয়ে নিতে চাইছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের এয়ার ফোর্স গ্লোবাল স্ট্রাইক কমান্ডার জেনারেল তিমোথি রে বলেন, ‘যেকোনো বড় পরিসরে আঘাত করার ক্ষমতা আমদের আছে। মহামারির মধ্যেও যেকোনো সময়ই অপ্রতিরোধ্য ক্ষেপণাস্ত্র চালানোর মতো সক্ষমতা আমাদের আছে।’

ওইদিন নেভি প্যাসিফিক ফ্লিট ঘোষণা করে যে, মহামারি পরিস্থিতিতে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মুক্ত চলাচলে সাহায্যের জন্য তাদের সব সাবমেরিন সমুদ্র মিশনে আছে।

সম্প্রতি গুয়াম প্যাসিফিক আইল্যান্ডে আবারও বোমারু বিমান পাঠাতে শুরু করেছে মার্কিন বিমান বাহিনী।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মিত্র দেশগুলোকে আশ্বস্ত করতে মার্কিন বোমারু বিমানগুলো দক্ষিণ চীন সাগরে তিন দফা অভিযানের মাধ্যমে সংকেত পাঠায়।

এদিকে, পিপলস লিবারেশন আর্মির সাউদার্ন থিয়েটার কমান্ডের মুখপাত্র কর্নেল লি হুয়ামিন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘চীন যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানাচ্ছে নিজের দেশের দিকে মনোযোগ দিতে, তাদের দেশের মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের দিকে নজর দিতে। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যে যুদ্ধ চলছে তাতে আরও অবদান রাখার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগী হওয়া উচিত।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আঞ্চলিক সুরক্ষা, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।’

Comments

The Daily Star  | English

$800m repayment to Russia in limbo

About $809 million has piled up in a Bangladesh Bank escrow account to repay loans and interest for the Russia-funded Rooppur Nuclear Power Plant.

8h ago