তামিমকে বল থ্রোয়ার রঘুর গল্প শোনালেন রোহিত
বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের ব্যাটিংয়ের উন্নতিতে বড় অবদান রয়েছে একজন বল থ্রোয়ারের! শুনলে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। যেন-তেন বল থ্রোয়ার নন, থ্রো ডাউনে তিনি গতি তুলতে পারেন ঘন্টায় ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত! ভারতীয় দলের বল থ্রোয়ার রঘুবিন্দ্রের আলাপ উঠেছিল রোহিতের সঙ্গে তামিম ইকবালের অনলাইন আড্ডাতেও।
নেটে আর্ম বল থ্রোয়ার দিয়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা নেন রঘু। তার তীব্র গতির থ্রো ডাউনে ব্যাটিং অনুশীলন করে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে হাত পাকা করেন রোহিত-কোহলিরা। সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি একবার বলেছিলেন, রঘু না-কি তাদের দলের একমাত্র ‘বিদেশি পেসার’।
ইংল্যান্ডে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে গিয়ে এই রঘুকে দেখতে পান তামিম। বিস্ময় নিয়ে দেখেছিলেন তীব্র গতিতে কীভাবে থ্রো ডাউন করাচ্ছেন তিনি।
শুক্রবার রোহিতকে নিজের লাইভে যুক্ত করে রঘুর কথা জিজ্ঞেস করেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। উত্তরে ভারতীয় ওপেনার জানান, রঘু নিজেও হতে চেয়েছিলেন ক্রিকেটার। তা হতে না পারলেও ক্রিকেট নিয়ে তীব্র আবেগ খেলাটার সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছে তাকে, ‘সে খুব গতিশীল। সে ক্রিকেট নিয়ে পুরোপুরি উন্মাদ। সে সব কিছু ছেড়ে কেবল (ভারতীয় ক্রিকেট) দলকে সাহায্য করতে এসেছে। যখন তার বয়স খুব কম ছিল, সে সব ছেড়ে ক্রিকেটে মন দিয়েছিল। কিন্তু ক্রিকেট খেলে বেশি দূর এগোতে পারেনি। পরে সে ঠিক করল, যেকোনোভাবে সাহায্য করবে ক্রিকেটে। এরপর সে ব্যাঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে যোগ দেয়। তখন থেকেই সে এক ধাপ এগিয়ে ছিল এই কাজে।’
রঘু ভারতীয় দলের সঙ্গে আছেন ২০১১ সাল থেকে। এক সময় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নে কর্নাটক থেকে মুম্বাই এসেছিলেন তিনি। সে স্বপ্ন পূরণ না হলে জড়িয়ে পড়েন সাপোর্ট স্টাফের কাজে। ব্যাঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে তাকে দেখে মনে ধরে যায় শচীন টেন্ডুলকারের, ভালো লাগে রাহুল দ্রাবিড়েরও। তারপর থেকেই রঘু ভারতীয় ব্যাটসমানদের বড় এক সাহায্যকারী হিসেবে দলের সঙ্গে আছেন।
রোহিতকে তামিম জানান, বাংলাদেশেও এমন কজন বল থ্রোয়ার আছেন, যারা বেশ কার্যকর। এদের দুজনের আবার স্থগিত হয়ে যাওয়া ২০২০ আইপিএলেও কাজ করার কথা ছিল, ‘আমাদেরও এরকম কয়েকজন আছে। দুজনের এই বছর আইপিএলেও সানরাইজার্সে (হায়দরাবাদ) যাওয়ার কথা ছিল। করোনাভাইরাসের কারণে যেতে পারেনি।’
Comments