হাতিয়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

হাতিয়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত দুই টার দিকে হাতিয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে স্থাপিত অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টারে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হলো।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

হাতিয়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত দুই টার দিকে হাতিয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে স্থাপিত অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টারে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হলো।

আজ শনিবার দুপুরে নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মোমিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রোগ নিয়ন্ত্রণ ডা. নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘মারা যাওয়া ব্যক্তি চরকিং ইউনিয়নের বাসিন্দা।  তিনি চট্টগ্রামে আগ্রাবাদস্থ সুপারিপাড়া ফাতেমা বাদশার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গত বৃহস্পতিবার বুকে ব্যথা নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে হাতিয়া চরকিং এলাকায় আসেন। এরপর বুক ব্যথা, ঠাণ্ডা, কাশি এবং ডায়রিয়া শুরু হয়। গতকাল রাত পৌনে ১ টার সময় তাকে হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে তার পরিবার। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন হাতিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মৃত ব্যক্তি ও তার পরিবারের সাত সদস্যের নমুনা সংগ্রহ এবং বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। আগামীকাল নমুনাগুলো নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হবে।’

হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘করোনা সন্দেহে মৃত ব্যক্তির মরদেহ দাফনে এলাকাবাসী বাঁধা দেয়। খবর পেয়ে হাতিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োজিত ব্যক্তিদের নিয়ে মৃত ব্যক্তির মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করেন।’

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।  ওই পরিবারের সাত সদস্যের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসা পর্যন্ত তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago