‘দলবেঁধে’ আবারও সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ফটো রয়টার্স

দুই সপ্তাহ আগে, মেরিল্যান্ডের ক্যাম্প ডেভিডে কয়েকজন সহযোগীর সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি কাটিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠক ও আলোচনার ফাঁকে একসঙ্গে আড্ডা ও খাবার খেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সসহ অন্যান্য মার্কিন নেতারা। প্রেসিডেন্টের অবকাশ যাপন কেন্দ্রের নিজস্ব থিয়েটারে দলটি একসঙ্গে সিনেমাও দেখেন।

এরপরের সপ্তাহেই ট্রাম্পের সহযোগী মাইক পেন্সের প্রেস সেক্রেটারি কেটি মিলারের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

সিএনএন জানায়, হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তাদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কার মধ্যেই এই সপ্তাহে আবারও ডেভিড ক্যাম্পে ছুটি কাটাতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। গতবারের মতো এবারও সহযোগীদের সঙ্গে নেবেন তিনি। 

সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে আবারও ডেভিড ক্যাম্পে ছুটি কাটানোর বিষয়ে জানতে চাইলে হোয়াইট হাউজের একাধিক কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, তারা সুরক্ষিত আছেন। নিয়মিত তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।

তারা জানান, গত সপ্তাহে ওয়েস্ট উইংয়ের দুজনের কোভিড-১৯ শনাক্তের পর হোয়াইট হাউজের সবাইকে পরীক্ষা করা হয়েছে। জানা গেছে, ট্রাম্পের টিমের কেউ আক্রান্ত হননি।

হোয়াইট হাউজের অধিকাংশ সদস্য বাড়ি থেকে কাজ করলেও অনেকেই প্রতিদিন জরুরি কাজের জন্য সেখানে যান।

গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তার করোনা শনাক্তের পর এ সপ্তাহে হোয়াইট হাউজের কার্যক্রমে কিছুটা পরিবর্তন দেখা গেছে। অধিকাংশ কর্মীই এখন মাস্ক ব্যবহার করছেন ও সহকর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছেন।

তবে, অন্যদের মাস্ক ব্যবহার ও দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ দিলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে গণমাধ্যমে এখন পর্যন্ত মাস্ক পরতে দেখা যায়নি।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। এই পরিস্থিতির মধ্যেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস’ ও সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই সাপ্তাহিক ছুটি কাটানোকে ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়েছে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘দায়িত্বজ্ঞান’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Rickshaws no longer allowed on main roads: DNCC

More than 100 illegal battery-powered rickshaws were seized during the joint operation

13m ago