‘ঝাড়ি কম দিস ভাই, বয়সে তো আমি তোর বড়’, মুমিনুলকে তামিম

শনিবার রাতে সৌম্য সরকার, লিটন দাস আর মুমিনুল হককে নিয়ে সরাসরি অনলাইন আড্ডায় মেতেছিলেন তামিম। পরে তাইজুল ইসলামকে যোগ করে সেই আড্ডা চলে দেড়ঘণ্টা ধরে।
Tamim Iqbal & Mominul Haque
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম টেস্ট জিতে আসার দিন মুমিনুল হক শুনিয়েছিলেন কীভাবে সামলাচ্ছেন পরিস্থিতি। অধিনায়কত্বের ভার সামলে প্রয়োজনে নাকি তিনি কঠোরও হচ্ছেন, এমনকি সিনিয়র ক্রিকেটারদেরও ঝাড়ি মারতে ছাড়েন না। তামিম ইকবাল সে কথাই মনে করিয়ে মুমিনুলের কাছে মজারচ্ছলে রেখেছেন এক আবদার। মুমিনুল শুনিয়েছেন তার অধিনায়কত্ব নেওয়ার গল্প।

শনিবার রাতে সৌম্য সরকার, লিটন দাস আর মুমিনুল হককে নিয়ে সরাসরি অনলাইন আড্ডায় মেতেছিলেন তামিম। পরে তাইজুল ইসলামকে যোগ করে সেই আড্ডা চলে দেড়ঘণ্টা ধরে।

মুমিনুলের আকস্মিক টেস্ট অধিনায়কত্ব পাওয়া এবং সামলে নেওয়ার প্রসঙ্গ তুলেন তামিম। সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞার পর গত বছর নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে আচমকা নেতৃত্ব পাওয়া মুমিনুল শুরুতে নড়বড়ে হলেও ধীরে ধীরে নিজেকে গুছিয়ে নিচ্ছেন।

আরও পড়ুন- এখন সবাইকে ‘ঝাড়ি মারেন’ অধিনায়ক মুমিনুল

মুমিনুলের নেতৃত্বের তারিফ করেই তামিমের জিজ্ঞাসা,  ‘তুই যেভাবে নিজের নেতৃত্ব দেখাচ্ছিস, মাঝে মাঝে এক-দুইটা ঝাড়ি  আমাদেরও দিয়ে ফেলিস। নেতৃত্ব উপভোগ করছিস, ভালো, উপভোগ কর...।’

তামিমের কথা কেড়ে নিয়ে মুমিনুল শোধরে দেন, ‘যেটা আপনি বলছেন, ঝাড়ি মারি, এটা ভুল কথা।’ তামিম তখন জিম্বাবুয়ে সিরিজের সংবাদ সম্মেলনের কথা মনে করিয়ে দেন, ‘তুই বলেছিলি, ‘আমি সিনিয়রদেরও ঝাড়ি মারি’, আমি তো ওটা নিয়ে বলছি।’

মুমিনুল পরিষ্কার করেন কি প্রেক্ষাপটে আসলে তার ঝাড়ি মারার কথাটা বলা, ‘এটা, কয়েকজন সাংবাদিক শুনতে চাচ্ছিল, সিনিয়রদের ঝাড়ি মারি কী না, আমি (সংবাদ সম্মেলন থেকে) চলে আসছিলাম তখন জিজ্ঞেস করছিল। তো বলছিলাম।’

‘আমি একমাত্র ঝাড়ি কিন্তু আপনাকেই মারি। এটা নির্ভর করে, যখন কোনো বাজে শট খেলেন, তখন মারি। যখন আপনি অ্যালাও করেন, তখন মারি আর কি। ভালোর জন্যই মারি।’

তামিম টিপ্পনি কেটে তখন বলেন,  ‘কিন্তু ঝাড়ি টাড়ি কম দিস ভাই, বয়সে তো আমি তোর বড় (হাসি)।’

খুনসুটি শেষ হলে তামিমের আসল প্রশ্নের জবাব দেন মুমিনুল। জানান আচমকা পাওয়া অধিনায়কত্ব যে কারণে সানন্দে গ্রহণ করেছিলেন তিনি, ‘আমি যখন অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব পাই, আমার মনে হয়েছিল অধিনায়কত্ব করার এটাই সবচেয়ে ভালো সময়। কারণ, আমার কাছে তখন চার জন খেলোয়াড় ছিল, যারা প্রায় ১০ বছর ধরে খেলছে। তারপর তিন-চার জন জুনিয়র খেলোয়াড় বর্তমানে খুব ভালো অবস্থায় আছে। পেসার আছে, ভালো ভালো স্পিনার আছে। আমি চিন্তা করলাম, আমার জন্য এটা চ্যালেঞ্জ নয়, এটা ভালো সুযোগ হবে। টেস্টে দলকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এটা ভালো একটা সুযোগ।’

‘সত্যি কথা বলতে, আপনারা যে ৪-৫ জন আছেন, এটা আমার বড় অনুপ্রেরণা। কারণ, এই সিনিয়র খেলোয়াড় অন্তত আরও ৫-৬ বছর খেলবে। তারপর জুনিয়র যারা আছে, তারাও ভালো করতে শুরু করেছে…আমি উপভোগ করার চেষ্টা করি। আর কোনো কিছু না, খালি উপভোগ করার চেষ্টা করব।’

Comments

The Daily Star  | English
Yunus-led interim govt takes charge

2 months of interim govt: Hopes still persist

The interim government had taken oath two months ago with overwhelming public support and amid almost equally unrealistic expectations.

4h ago