টাঙ্গাইলে আবারও খুলে দেয়া হলো মার্কেট-শপিংমল
টাঙ্গাইল শহরের মার্কেট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তিন দিন বন্ধ থাকার পর আজ রোববার দুপুর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে এই অনুমতি দেওয়া হয়।
আজ জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় ও অন্যান্য কর্মকর্তারা মার্কেট ও শপিংমলে করোনা রোধে নেওয়া বিভিন্ন ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন। এরপরই প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মার্কেট ও শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।
মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধি ও অন্যান্য বিষয় তদারকির জন্য ম্যাজিস্ট্রেট এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্তও জানানো হয়েছে।
নিয়ম মেনে গত ১০ মে থেকে দোকানপাট খোলার অনুমতি দেয় সরকার। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে ১৪ মে থেকে সব ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঈদের আগে আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে মার্কেট ও শপিংমল খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন টাঙ্গাইল জেলা শহরের দোকান মালিকরা।
পরে এ ব্যাপারে জেলা চেম্বারস অব কমার্সের নেতারা, স্থানীয় কয়েকজন সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠকে স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা হলে পুনঃপরিদর্শন সাপেক্ষে শর্ত পূরণের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে মার্কেট ও শপিংমল আবার খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
পরে ব্যবসায়ীরা মার্কেট ও শপিংমলের প্রবেশ মুখে জীবাণুনাশক টানেল এবং প্রতিটি মার্কেটের সামনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সীমানা নির্ধারণের ব্যবস্থা করেন।
তবে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইলাম সজিব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শহরের বিভিন্ন মার্কেটের রাস্তাগুলোর প্রবেশদ্বারে জীবাণুনাশকের নামে যে টানেল বসানো হয়েছে এবং তা থেকে যে পদ্ধতিতে জীবাণুনাশক মানুষের শরীরের খোলা স্থানে স্প্রে করা হচ্ছে তা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এ পদ্ধতিতে কোনোভাবেই করোনা সংক্রমণ বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব নয়।’
Comments