রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভারতীয় শ্রমিকদের আবার বিক্ষোভ

ভারতে ফিরে যেতে দেওয়ার দাবিতে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মরত ভারতীয় শ্রমিকরা দ্বিতীয় বারের মতো বিক্ষোভ করেছেন।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারতীয় শ্রমিকরা হেঁটে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলে রাস্তায় তাদের আটকে দেয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ছবি: স্টার

ভারতে ফিরে যেতে দেওয়ার দাবিতে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মরত ভারতীয় শ্রমিকরা দ্বিতীয় বারের মতো বিক্ষোভ করেছেন।

আজ রোববার বেলা ১২টার দিকে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে ভারতীয় শ্রমিকরা বেরিয়ে আসার পর খুলনা-মোংলা মহাসড়কে তাদের আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাধা পেয়ে সেখানেই তারা প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান করে বিক্ষোভ দেখান। পরে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে পাশে সরিয়ে দেন।

এর আগে গত ৪ মে একই দাবিতে ভারতীয় কয়েকশ শ্রমিক রাস্তায় বের হয়ে হেঁটে নিজেদের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা সেদিন বিদ্যুৎকেন্দ্রে ফিরে যায়। শ্রমিকদের অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে স্বজনদের সঙ্গে ঠিকমত যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। লকডাউনের দোহাই দিয়ে বাড়ি ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। ঠিকমত খাবারও পাওয়া যাচ্ছে না। যেকোনো উপায়ে এবার আমরা ভারতে ফিরে যেতে চাই।

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। আমরা শ্রমিকদের দেশে ফেরত পাঠাবার জন্য ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখান থেকেও চেষ্টা হচ্ছে তাদেরকে ভারতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে সম্ভব হচ্ছে না। এর মধ্যে শ্রমিকরা পরিস্থিতি উপলব্ধি না করে বিক্ষোভ করছেন। তারা কারও কথা শুনছেন না।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানো হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে শ্রমিকদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

7h ago