কোহলির সঙ্গে এখনি বাবরের তুলনা অনুচিত : ইউনুস খান
দশক জুড়ে দাপট দেখিয়ে একজন এখন অন্যতম বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান। আরেকজনের মধ্যে দেখা যাচ্ছে আগামীতে সেই পথে পৌঁছাবার আভাস। চোখ ধাঁধানো, মোহনীয় ব্যাটিংয়ের ধরণে দুজনের মধ্যে মিল আছে বটে। তবে ব্যাটসম্যান হিসেবে এত তাড়াতাড়ি বিরাট কোহলির সঙ্গে বাবর আজমকে মেলাতে আপত্তি জানিয়েছেন একমাত্র পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০ হাজার টেস্ট রান করা ইউনুস খান।
সম্প্রতি পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়ক করা হয়েছে বাবরকে। খবরে মশলা জোগাতে যা হয়, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে রেষারেষির বাজার দেখে অনেকেই বাবরকে কোহলির কাতারে নিয়েই করছেন প্রশংসা। তা যে বাড়াবাড়ি পরিসংখ্যান দিয়েই ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝিয়েছেন ইউনুস, ‘কোহলি এক দশকেরও বেশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে ফেলেছে। তার বয়স এখন ৩১। ক্যারিয়ারের সেরা ছন্দে আছে। সব রকমের পরিবেশেই নিজের জাত চিনিয়েছে,নিজেকে প্রমাণ করেছে। ৭০টা আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি ওর ক্লাস আর দক্ষতার প্রমাণ। অন্যদিকে মাত্র পাঁচ বছর আগে এসেছে বাবর। এরমধ্যেই ১৬ টা সেঞ্চুরি করেছে। টেস্ট ও ওয়ানডেতে তার গড় দারুণ। তবে এখনি দুজনের মধ্যে তুলনা করা হবে অনুচিত।’
৮৬ টেস্ট খেলে ৫৩.৬২ গড়ে ৭ হাজার ২৪০ রান কোহলির। ২২টি ফিফটির পাশাপাশি ২৭টি সেঞ্চুরি বলে তার কনভার্সন রেট কত উঁচু। ২৪৮ ওয়ানডেতে ৫৯.৩৩ গড়ে হয়ে গেছে ১১ হাজার ৮৮৭ রান। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ৫৮ ফিফটির সঙ্গে করে ফেলেছেন ৪৩ সেঞ্চুরি। আর ৮২ টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার ৭৯৪ রানও করেছেন ৫০.৮০ গড় ও ১৩৮.২৪ স্ট্রাইকরেটে!
এদিকে ২৬ বছরের বাবরের টেস্ট ক্যারিয়ার মাত্রই শুরু অলা চলে। ২৬ টেস্টে ৪৫.১২ গড়ে ১ হাজার ৮৫০ রান। ১৩ ফিফটির পাশাপাশি সেঞ্চুরি করেছেন ৫টি। ৭৪ ওয়ানডেতে ৫৪.১৭ গড়ে ৩ হাজার ৩৫৯ রান করতে বাবরের ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ ফিফটি আর ১১ সেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টি ৩৮ ম্যাচ খেলে ১ হাজার ৪৭১ রান করা বাবরের গড় ৫০.৭২। স্ট্রাইকরেট ১২৮.১৩।
ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার কঠিন সব পরিস্থিতিতে এখনো সেভাবে পরীক্ষা হয়নি বাবরের। আগামী বছর পাঁচ-সাতেক একই ছন্দ ধরে রাখা বা নিজেকে অন্য ধাপে নিয়ে যাওয়া কঠিন চ্যালেঞ্জ। এসব হিসেব মিলিয়েই পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ টেস্ট সেঞ্চুরি করা ইউনুসের মত হচ্ছে বাবরকে পাল্লায় তুলে মাপতে হবে আর পাঁচ বছর পর, ‘তুলনা করতে হলে কোহলির এখনকার পারফরম্যান্সের সঙ্গে পাঁচ বছর পরের বাবরকে মেলাতে হবে।’
Comments