করোনাকালে ‘আম্পান’, উপকূলে আতঙ্ক বাড়ছে

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ নিয়ে আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে পায়রা বন্দরসহ পটুয়াখালীর উপকূলজুড়ে। বিশেষ করে বেড়িবাঁধ ভাঙা জনপদ লালুয়ার চারিপাড়াসহ ১১ গ্রামের কমপক্ষে আড়াই হাজার পরিবার জলোচ্ছ্বাসের আতঙ্কে আছেন।
Amphan
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সম্ভাব্য গতিপথ। ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ নিয়ে আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে পায়রা বন্দরসহ পটুয়াখালীর উপকূলজুড়ে। বিশেষ করে বেড়িবাঁধ ভাঙা জনপদ লালুয়ার চারিপাড়াসহ ১১ গ্রামের কমপক্ষে আড়াই হাজার পরিবার জলোচ্ছ্বাসের আতঙ্কে আছেন।

একই আতঙ্কে রয়েছেন সাগরপাড় কুয়াকাটা ঘিরে থাকা ৪৮ নম্বর বেড়িবাঁধের ভেতরে কুয়াকাটা পৌরসভা, লতাচাপলী ও ধুলাসার ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ।

বাঁধের সবগুলো স্লুইসগেট পুনর্নির্মাণের কাজ চলছে। অস্বাভাবিক জোয়ারে বাঁধগুলো ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।

আজ সোমবার সকাল থেকে পটুয়াখালীর আকাশ কিছুটা মেঘলা। গুমোট ভাব বিরাজ করছে। অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে রোজাদার মানুষের ত্রাহি অবস্থা। একদিকে চলছে করোনার আতঙ্ক তার ওপর নতুন করে ঘুর্ণিঝড়ের আশঙ্কা— এ নিয়ে জেলার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক-শঙ্কা চরমে।

মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মামফাকুর রহমান বলেন, ‘উপজেলার বিচ্ছিন্ন চর ও দ্বীপ যেখানে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নেই সেখানকার বাসিন্দাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

তারা ইতোমধ্যে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের কারণে এমনিতেই সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা দেওয়া আছে, আবার ঘুর্ণিঝড়ের কারণে যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসবেন তাদেরকে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করতে বলা হবে।’

‘জেলায় ৭০১টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত ওষুধ, শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে’ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও, প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেডিকেল টিম ও স্বেচ্ছাসেবকও প্রস্তুত রয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago