ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে প্রস্তুতি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় নোয়াখালীতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইশরাত সাদমিন মিল্কি আজ সোমবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ছবি: বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে নেওয়া

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় নোয়াখালীতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইশরাত সাদমিন মিল্কি আজ সোমবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় জেলার উপকূলীয় এলাকা হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটে ৩৬৪টি আশ্রয়কেন্দ্র, রেডক্রিসেন্ট কর্মীসহ ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক এবং শুকনা খাবার প্রস্তত রাখা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস জানান, জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য উপকূলীয় এলাকার সাইক্লোন সেন্টার ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাবি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে উপকূলীয় অঞ্চলের বেড়িবাঁধগুলো দেখভাল করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার করোনা আক্রান্ত রোগী এবং লকডাউন করা বাড়ির লোকজনদের নিকটবর্তী আইসোলেশন কেন্দ্রে নেওয়া হবে এবং আশ্রয়ন কেন্দ্রে তাদের জন্য বিশেষ কক্ষের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, এখন ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে, ৭ নং সতর্ক সংকেতে উন্নীত হলে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে। এ ছাড়া গবাদি পশুর জন্য ৬৫ টি মুজিব কিলা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তিনি জানান, উপকূলীয় ৩ উপজেলায় জরুরি সভা শেষে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে এবং পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ সকাল থেকে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করার জন্য মাইকিং শুরু হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন মো. মোমিনুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের পর্যাপ্ত মজুদ আছে।

সুবর্ণচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এস এম ইবনুল হাসান ইভেন জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নদীতে থাকা নৌযানগুলোকে সতর্কতার সাথে চলাফেরা ও উপকূলের কাছাকাছি থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে মেঘনা নদীতে অস্বাভাবিক উঁচু ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। উপজেলার ২১০টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলা প্রস্তুত কমিটির ১৮৮টি ইউনিটও প্রস্তুত আছে। উপজেলার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা নিঝুমদ্বীপে মাইকিং করা হয়েছে।

অপরদিকে লক্ষ্মীপুর জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে।  জেলার কমলনগর রামগতি সদর ও রায়পুর উপজেলার জন্য ইতোমধ্যে ৩০ মেট্রিকটন চাল ও নগত ১৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০১টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ১৫০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চরাঞ্চলের মানুষকে সচেতন করে মাইকিং করা হচ্ছে।

Comments