উইকেটের পেছনে মুশফিকের কথা থেকেও উৎসাহ পান কোহলি!
বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান কে তা নিয়ে হয়ত বিরাট কোহলির সঙ্গে সমান পাল্লায় নাম আসে স্টিভেন স্মিথের। কিন্তু রান তাড়ায় সেরার হিসেব করলে কোহলিকে বেশিরভাগই প্রশ্নাতীতভাবে মানেন বিশ্বসেরা। যেকোনো লক্ষ্য তাড়াতেই কোন তাড়না থেকে সব সম্ভবের ঝাঁজ আসে কোহলির, অনলাইন আড্ডায় তা জানতে চেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। কোহলি রসিকতা ও সিরিয়াসনেস মেশানো ব্যাখ্যায় দিয়েছেন জবাব।
সোমবার রাতে তামিমের নিয়মিত অনলাইন আড্ডায় যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার কোহলি। ২৫ মিনিটের আলাপে বেশিরভাগই তারা কথা বলেছেন ক্রিকেটীয় বিষয় নিয়ে।
এক পর্যায়ে তামিম জিজ্ঞেস করেন, ‘বিরাট ভাই, রান তাড়ায় তুমি কীভাবে সব লক্ষ্য সম্ভব কর।’
জবাবটা প্রথমে হালকা চালে শুরু করেন কোহলি, ব্যাটিংয়ের সময় উইকেটকিপারদের স্লেজিংয়ের প্রসঙ্গ টানেন তিনি, ‘মানসিক প্রক্রিয়া সহজই থাকে। কখনো কখনো মুশফিকরাও সাহায্য করে, মানে স্টাম্পের পেছন থেকে কিছু একটা বলে। তখন আমি আরও উৎসাহ পাই। (হাসি)
তারপরই মূল ব্যাখ্যায় কোহলি শুনিয়েছেন বরাবরই হার না মানা মানসিকতা তাকে রাখে ইতিবাচক, ‘আসলে সত্যি কথা বলতে আমি ছোট থেকেই একটা ব্যাপার ভাবতাম। টিভিতে যখন ম্যাচ দেখতাম, অনেক ম্যাচে ভারত রান তাড়া করে জেতার অবস্থায় নেই। তবু আমার মনে হত আমি যদি থাকতাম তাহলে জিতে যেতাম। মানে এ ধরণের একটা স্বপ্ন খেলা করত মনের ভেতর।’
‘আমি এভাবে দেখি, এটা একটা সুযোগ। আমাকে সেটা করতে হবে, জেতাটা জরুরী। আমি দলকে জিততে দেখতে চাই। এই দৃঢ়তায় ভেতরের আগুন বের করে নিয়ে আসে।’
তামিম তখন জিজ্ঞেস করেন, ‘৩৭০-৩৮০ রান তাড়া করতে গেলেও একই চিন্তা মাথায় থাকে?’
জবাবে কোহলি জানান কোন প্রক্রিয়ায় সব সম্ভব করার দিকে এগিয়ে যায় তার চলার পথ ‘হ্যাঁ অবশ্যই। একই চিন্তা থাকে) আমি কখনো ভাবি না যে হবেই না। একটা ম্যাচের কথা মনে পড়ে। হোবার্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪০ ওভারে ৩৩০ রানের মতো করতে হতো আমাদের কোয়ালিফাই করতে হলে। আমি মনে পড়ে হয়ত রায়না ছিল বা অন্য কেউ আমি বলেছিলাম এই ম্যাচকে আমরা দুইটা ২০ ওভারের ম্যাচ হিসেবে নিব। ৪০ ওভার শুরুতে আমরা দেখব না। প্রথম ২০ ওভারে দেখব কতরান করা যায়। যদি ৮ উইকেট হাতে থাকে তাহলে পরের ২০ ওভারে ওভারপ্রতি ১২ রান করেও করা যাবে।’
ওয়ানডেতে রান তাড়ায় ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন কোহলি। রান তাড়ায় রেকর্ড ২৬টি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। যার ২২টিতেই জিতেছে তার দ।
Comments