সাগর থেকে এখনো প্রায় ১০০ ট্রলার ফেরেনি

দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার দুই হাজারেরও বেশি ট্রলার মাছ ধরতে সাগরে গেলেও, এখন পর্যন্ত তীরে ফেরেনি প্রায় ১০০ ট্রলার। বরগুনা জেলা প্রশাসন ও ট্রলার মালিক সমিতি এবং ভোলা জেলা প্রশাসন এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
Fishing Boat-1.jpg
নির্দেশনা মেনে বেশিরভাগ মাছধরার ট্রলার তীরে ফিরে এলেও, প্রায় ১০০ ট্রলার এখনো সাগরে রয়েছে। ছবি: স্টার

দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার দুই হাজারেরও বেশি ট্রলার মাছ ধরতে সাগরে গেলেও, এখন পর্যন্ত তীরে ফেরেনি প্রায় ১০০ ট্রলার। বরগুনা জেলা প্রশাসন ও ট্রলার মালিক সমিতি এবং ভোলা জেলা প্রশাসন এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’ এগিয়ে আসলেও, এখন পর্যন্ত মাছ ধরার ট্রলার না ফেরায় জেলে পরিবার ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।

বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, কয়েক দিন আগে হাজার খানেক মাছধরার ট্রলার সমুদ্রে গেলেও ২০টি ট্রলার এখনও ফেরেনি।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি তারা শীগগিরই ফিরে আসবে।’

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘যদিও এখানে ৪-৫ হাজার ফিশিং ট্রলার ছিল, তবে এর অর্ধেকই মাছ ধরতে গিয়েছিল, বেশিরভাগ ট্রলার বরগুনায় ফিরে এসেছে, তবে কিছু ট্রলার এখনও ফেরেনি।’

বরগুনা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী জানান, এফভি মহসিন আউলিয়া, এফভি শাহিন, এফভি মায়ের দোয়াসহ কমপক্ষে ২৫টি ফিশিং ট্রলার পাথরঘাটার মাছ ঘাটে এখনও ফেরেনি।

তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু আম্পানের কারণে আমরা ভয়ে আছি। যেখানে প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়ে কিছু না কিছু ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটছে, তাই আমরা উদ্বেগের মধ্যে আছি।’

‘মৎস্যজীবী সমিতির কমপক্ষে ৪০০ ট্রলার সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলেও, কমপক্ষে ২৫টি ট্রলার এখনও ফেরেনি’, বলেন তিনি।

ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক জানান, হাজারের অধিক ট্রলার মাছ ধরার জন্য সমুদ্রে গেলেও, এর মধ্যে ৬০টি ট্রলার এখনো ফেরেনি।

‘আমরা কয়েকজন জেলের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছি এবং তাদের দ্রুত তীরে ফিরে আসতে বলেছি’, বলেন তিনি।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, তারা ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে ১৯ মের আগেই জেলেদের ফিরে আসতে বলেন। এ কারণে সবাই আগেই নিরাপদে তীরে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছে।

মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, ‘আমরা ১৯ মের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের জন্য ও সমুদ্রে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে মাছধরার বোট, মেকানাইজড ফিশিং ট্রলারসহ সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলেছিলাম। অনেকেই তীরে ফিরতে পারলেও, অনেকেই ফেরেনি।’

বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তর জানায়, বিভাগে ৩ লাখ ৫১ হাজার জেলে রয়েছে। এর মধ্যে, সমুদ্রে বড় মাছধরার ট্রলার নিয়ে সাগরে যায় ৫ হাজারের কম ট্রলার।

বরিশাল ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ইসরাই পণ্ডিত ঝড়ের মুখে মাছধরার ট্রলার তীরে ফিরে না আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জেলেদের উদ্ধারে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago