করোনাভাইরাস মহামারিতে বাড়ছে পারিবারিক নির্যাতন: সমীক্ষা
দেশে করোনাভাইরাসের মহামারিতে বাড়ছে পারিবারিক নির্যাতন। সেই সঙ্গে কাজ না থাকায় ও আয় রোজগার কমে যাওয়ায় স্বল্প আয়ের পরিবারে খাবারের সংকটের মধ্যেও কোথাও কোথাও মাদকের ব্যবহার বাড়ছে। এতে নারী ও শিশুরা যেমন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তেমনি বাড়ছে তাদের অর্থনৈতিক সংকট ও সামাজিক ঝুঁকি।
বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট (স্টেপস্) এবং দেশের ১৮টি জেলার বেসরকারি সংগঠনের সম্মিলিত জাতীয় প্ল্যাটফরম বা ফোরাম জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যালায়েন্স (গ্যাড অ্যালায়েন্স)-এর যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি দেশের ১৮টি জেলায় ৫৪টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়নে সাত হাজার পরিবারের ওপর পরিচালিত এক নিবিড় পর্যবেক্ষণে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫৫০টি পরিবারে নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর শতকরা হার হচ্ছে ৬৫ শতাংশ।
তারা পর্যবেক্ষণে দেখেছে, এ সময়ে স্থানীয় পর্যায়ে গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ নানা ধরনের মাদকের সহজলভ্যটা ও এর ব্যবহার বেড়েছে।
পর্যবেক্ষণ-এর প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে পারিবারিক নির্যাতনের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, শারীরিক নির্যাতন, ঝগড়া, বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া, খেতে না দেওয়া, ঘরে আটকে রাখা, খারাপ ব্যবহার করা, নারীকে ত্রাণ সংগ্রহের কাজে ব্যবহার, খাবারের সংকটের কারণে শিশু-নারী নির্যাতন, অভাবের কারণে স্ত্রী ও সন্তানকে মারধর, শিশু নির্যাতন, তালাক। এছাড়াও পরিবারের প্রয়োজনে কিংবা স্বামীর চাপে নারীদের সর্বশেষ জমানো টাকা তাঁদের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। দেখা গেছে, বাপের বাড়ি থেকে টাকা বা খাবার আনার জন্য নারীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে, ফলে বাড়ছে তালাকের আশঙ্কা।
Comments