বিপৎসীমার উপরে কচা ও বলেশ্বর নদীর পানি
![Pirojpur_Amphan_20May2020 Pirojpur_Amphan_20May2020](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/pirojpur_amphan_20may2020.jpg?itok=UfO8Xfit×tamp=1589959566)
পিরোজপুরে কচা নদীর পানি দুই দশমিক ৬৫ মিটার ও বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার দুই দশমিক ৬৮ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। আজ বুধবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক দীপক রঞ্জন দাশ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গত রাত থেকেই কচা, বলেশ্বর, সন্ধ্যা ও কালিগঙ্গা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।’
জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘রাত থেকে পিরোজপুরে হালকা ঝড়ো হাওয়াসহ একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া, নদীগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত জেলায় ৫৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখ ৫২ হাজার মানুষ ও ৩৩ হাজার গবাদিপশু নিয়ে আসা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলায় সাতটি আলাদা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।’
পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসনাত ইউসুফ জাকী বলেন, ‘ইতোমধ্যে ৬০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত আছেন।’
পিরোজপুরের ২৩১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে প্রায় ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। জলোচ্ছ্বাস হলে নদীতীরবর্তী বসতি প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে মঠবাড়িয়া উপজেলায়।
মাঝেরচর গ্রামের বাসিন্দা কবির হোসাইন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ইতোমধ্যে বেড়িবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দিয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঊর্মি ভৌমিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির আশঙ্কা আছেই, গ্রাম প্লাবিত হলে কলার খেত ও বোরো ধান নষ্ট হয়ে যাবে।’
Comments