ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র বাংলাদেশে প্রবেশের সম্ভাবনা নেই: আবহাওয়া অধিদপ্তর

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কেন্দ্র পশ্চিবঙ্গের সাগরদ্বীপ দিয়ে স্থলভাগে ঢুকছে। সুন্দরবন দিয়ে এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ রাশেদুজ্জামান।

সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কেন্দ্র বাংলাদেশে প্রবেশের কোনো সম্ভাবনা নেই। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরা ও খুলনার ওপর দিয়ে ঝড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে।

এর আগে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে সাগর দ্বীপ এর পূর্বপাশ দিয়ে এটি পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে।

এসময় উপকূলীয় অঞ্চলে ১০ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরে কর্মরত আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে জানান, বাংলাদেশে এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে সাতক্ষীরা জেলায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঝড়টি শক্তি হারিয়ে দেশে প্রবেশ করবে। সাতক্ষীরার পাশাপাশি খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়েও ঝড়ো বাতাস বয়ে যাবে।

এদিকে, বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় কলকাতার আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ২৯ কিলোমিটার বেগে উপকূলের দিকে আসছে। কলকাতার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটারেরও বেশি বেগে ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কেন্দ্রের অবস্থান দীঘা থেকে ৭০ কিলোমিটার পূর্বে ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ২১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের কাছের উপকূলীয় পর্যটন কেন্দ্র দীঘা দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখভাগ স্থলভাগে প্রবেশ করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের 'চোখ' রয়েছে উপকূলের ঠিক কাছে। আগামী দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে এটি পুরোপুরি উপকূল দিয়ে স্থলভাগে উঠে আসবে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

খুলনায় ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার

বিপৎসীমার উপরে খুলনার নদ-নদীর পানি 

ভোলার ২১ চর প্লাবিত

আম্পানের মূল ভয় জোয়ার-ভাটা 

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, গলাচিপার গোলখালী, বাউফলে বাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত

চট্টগ্রামে আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার মানুষ ও ১ লাখ গবাদিপশু

Comments

The Daily Star  | English

Israel will take all of Gaza: PM

Strikes kill 52 more; WHO chief says 2 million 'starving'

7h ago