বল শাইন করতে কৃত্রিম বস্তু ব্যবহারের অনুমোদন চান কামিন্স

অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার প্যাট কামিন্স বল শাইন করতে (ঘষে চকচকে করা) মোম বা অন্য কোনো কৃত্রিম বস্তু ব্যবহারের অনুমোদন চেয়েছেন।
pat cummins
ছবি: এএফপি

আইসিসির ক্রিকেট কমিটি বলে লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে। এর প্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার প্যাট কামিন্স বল শাইন করতে (ঘষে চকচকে করা) মোম বা অন্য কোনো কৃত্রিম বস্তু ব্যবহারের অনুমোদন চেয়েছেন।

ভারতের সাবেক ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট কমিটি সম্প্রতি এক ভিডিও কনফারেন্সে করোনাভাইরাস পরবর্তী ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের সুরক্ষায় বেশ কিছু সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী জুনে আইসিসির সদস্য দেশগুলোর প্রধান নির্বাহীদের বৈঠকে এগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। এরপর আসবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

মূলত, স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে বলে লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ করে ঘাম ব্যবহারে উৎসাহিত করতে এই সুপারিশ করা হয়েছে। ঘাম থেকে ভাইরাসের সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি কম। তাই বলে ঘাম ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সুপারিশের প্রয়োজনীয়তা দেখছে না আইসিসির ক্রিকেট কমিটি।

কিন্তু এই সুপারিশটি গৃহীত হলে পেসারদের পড়তে হবে বেশ বিপাকে। কারণ, বলের সুইং ও রিভার্স সুইংয়ের জন্য শাইন আবশ্যক। আর ক্রিকেটীয় ঐতিহ্য অনুসারে যুগ যুগ ধরে লালা বা ঘাম দিয়ে বল শাইন করে আসছেন ফাস্ট বোলাররা।

ঘাম ব্যবহারে বাধা নেই, কিন্তু লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ হতে পারে। তাই ক্রিকেটের আইন প্রণেতাদের কাছে বিকল্প ব্যবস্থা চালু করার দাবি করেছেন কামিন্স, ‘আমরা যদি লালা সরিয়ে দেই, তাহলে আমাদের অন্য কোনো বিকল্প রাখতে হবে।’

কৃত্রিম বস্তু ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে সময়ের অন্যতম সেরা পেসার যোগ করেছেন, ‘ঘামের ব্যবহার খারাপ নয়, কিন্তু আমাদের এর চেয়েও ভালো কিছু দরকার। সেটা যাই হোক না কেন। মোম বা অন্য কোনো কিছু।’

ক্রিকেট কমিটির প্রধান কুম্বলে অবশ্য জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে এই সুপারিশগুলো করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে নিরাপদে ক্রিকেট মাঠে ফেরানোর লক্ষ্য নিয়ে। অর্থাৎ ভ্যাকসিন আবিষ্কার হওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে সবকিছু আগের অবস্থায় ফিরতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago