ডুবে গেছে কয়রার ৫৮টি গ্রাম, ঢুকছে জোয়ারের পানি

খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ বেতকাশি ইউনিয়ন এখনো সম্পূর্ণ পানির নিচে। এ ছাড়া, কয়রা সদর ইউনিয়ন ও মহারাজপুর ইউনিয়নের কিছু অংশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা এ তথ্য জানিয়েছেন।
Khulna_Amphan_21May2020.jpg
খুলনার কয়রা উপজেলার দুইটি ইউনিয়নসহ মোট ৫৮টি গ্রাম ডুবে গেছে। ছবি: স্টার

খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ বেতকাশি ইউনিয়ন এখনো সম্পূর্ণ পানির নিচে। এ ছাড়া, কয়রা সদর ইউনিয়ন ও মহারাজপুর ইউনিয়নের কিছু অংশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আম্পানের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে ৫৮টি গ্রাম এখন পানির নিচে। এসব গ্রামে ৭০ হাজার মানুষ বাস করেন। তারা সবাই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। কয়রা উপজেলা মোট এক লাখ ৪৮ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।’

শিমুল কুমার সাহা বলেন, ‘কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া— দুটি বড় নদীর পাড়ে বেড়িবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত ১৭ কিলোমিটারের মধ্যে ২১টি পয়েন্ট দিয়ে পানি ঢুকেছে। আমরা বুঝতে পারিনি, পরিস্থিতি এত খারাপ হবে। আগে থেকে নৌকা প্রস্তুত না রাখায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া যাচ্ছে না। দক্ষিণ বেতকাশি ইউনিয়নের গোলখালী, মাটিভাঙ্গা, চরমুখা, উত্তর বেতকাশি ইউনিয়নের পাথরখালী, গাজীপাড়া, সদর ইউনিয়নের গোবরা, হরিণখোলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩৭ হাজার বাড়ি সম্পূর্ণ ও আংশিকভাবে ভেঙে পড়েছে।’

দক্ষিণ বেতকাশি ইউনিয়নের বাসিন্দারা বলেন, সিডরের পরে তিন বছর ধরে এই ইউনিয়ন পানিবন্দি। এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি। ভাটার সময় ঝড় হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ কম ছিল। আজ সকাল ১১টা থেকে জোয়ারের পানি ঢুকতে শুরু করেছে। ঝড় চলে গেলেও ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে থাকবে।

আরও পড়ুন:

আম্পান: সীমানা জটিলতা ঝুঁকি বাড়িয়েছে খুলনার

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

14h ago